বড় ভাইকে হত্যা: স্ত্রী ও ছোট ভাইয়ের যাবজ্জীবন

হাইকোর্টবাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় পরকীয়ার জেরে বড় ভাইকে হত্যার দায়ে ছোট ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে স্বামী হত্যার দায়ে স্ত্রী পারভীন খাতুন ও প্রতিবেশি আসাদ তালুকদারকে দেওয়া বিচারিক আদালতের যাবজ্জীবন দণ্ড বহাল রাখা হয়েছে।
সোমবার এ মামলার ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিল শুনানি শেষে বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নির্মল কুমার দাস। আর আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফজলুল হক ভূঁইয়া ও আইনজীবী সাইদুল ইসলাম।
রায়ের বিষয়ে মো. বশির উল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।’
এর আগে, ২০০৮ সালের ২৩ অক্টোবর রাতে ঘরের সিঁদ কেটে মোয়াজ্জাম শেখের ছেলে এসকেন্দারকে জবাই করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার পরদিন ২৪ আক্টোবর নিহতের বাবা মোয়াজ্জাম শেখ বাদী হয়ে চিতলমারী থানায় হত্যা মামলা করেন।

এ মামলায় পুলিশ তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এসকেন্দার শেখের স্ত্রী পারভীন খাতুন ও ছোট ভাই মাহমুদ শেখের পরকীয়ার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয় এবং তাদেরকে প্রতিবেশি আসাদ তালুকদার ওই হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা করেন বলে আদালতে প্রমাণিত হয়।

এরপর ২০১১ সালের ২৮ জুলাই বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. রেজাউল করিম রায়ে মাহমুদ শেখকে মৃত্যুদণ্ড এবং এসকেন্দারের স্ত্রী পারভীন খাতুন (২৯) ও অপর আসামি আসাদ তালুকদারকে (৩৫) যাবজ্জীবন দণ্ড দিয়েছিলেন।