‘আমিও সবার মতো আল্লাহ আল্লাহ করছি’

মুবাশ্বার হাসান সিজারবেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সহকারী অধ্যাপক মুবাশ্বার হাসান সিজার নিখোঁজের একমাস পূর্ণ হলো আজ। একমাসেও মুবাশ্বারের কোনও হদিস না পেয়ে তার পরিবার ভেঙে পড়েছে। এখনও তারা আশায় বুক বেঁধে আছেন, প্রত্যাশা করছেন মুবাশ্বার দ্রুত পরিবারের কাছে ফিরে আসবেন।

গত ৭ নভেম্বর সকালে দক্ষিণ বনশ্রীর বাসা থেকে বের হয়ে মুবাশ্বার নিজের কর্মস্থল নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটিতে যান। সেখান থেকে বিকালে আগারগাঁওয়ের আইডিবি ভবনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্পের একটি মিটিংয়ে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বের হওয়ার পরপরই নিখোঁজ হন তিনি। ওই দিন সর্বশেষ ৬ টা ৪১ মিনিটেও আগারগাঁও এলাকাতেই ছিল তার অবস্থান। কিন্তু, গত একমাসেও তার সন্ধান মেলেনি।

তার নিখোঁজের পরও কোনও মুক্তিপণ বা চাঁদা দাবি করেনি কোনও সংঘবদ্ধ চক্র। তার বাবা মোতাহের হোসেন বুধবার বিকালে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঘটনার পর আমরা কোনও ফোন পাইনি। কোনও মুক্তিপণের দাবিও আসেনি। শুধু প্রার্থনা করছি। একমাস হয়ে গেল এখনও কোন খোঁজ পেলাম না। অপেক্ষা করা ছাড়া আর কিছু করার নেই।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের সাহায্য করার কেউ নেই। তাই আমিও সবার মতো আল্লাহ আল্লাহ করছি। আমাদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউও যোগাযোগ করছে না এখন। কার কাছ থেকে কী তথ্য পাবো। তাই সৃষ্টিকর্তার ওপর ভরসা করে আছি।’

মুবাশ্বার নিখোঁজ হওয়ার পর তার বাবাই খিলগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তার বাবা মোতাহের হোসেন। জিডি নম্বর ৪৭১।

মুবাশ্বার হাসানের ফেসবুক পাতায় ৩১শে অক্টোবর এক পোস্টে দেখা যাচ্ছে তিনি লিখেছেন এক, দুই বছর ধরে তিনি বেনামি ফেসবুক ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে বিরক্তিকর বার্তা পেয়ে আসছেন।

খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান জানান, পুলিশ গুরুত্ব দিয়েই তার নিখোঁজের ঘটনাটি তদন্ত করছে।

মুবাশ্বার নিখোঁজ হওয়ার পর তার সহকর্মী, শিক্ষার্থী ও বন্ধু-বান্ধবরা কয়েক দফায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন  করেন। তারা মুবাশ্বারকে খুঁজে বের করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানান।