শ্যামলীতে গাড়ি ভাঙচুর ও যাত্রীদের মারধর করলেন পুলিশ কনস্টেবল

ভাঙচুর করা গাড়িরাজধানীর শ্যামলীতে নিজের মোটরসাইকেলের সঙ্গে হালকা ধাক্কা লাগায় একটি প্রাইভেট কার ও এর যাত্রীদের মারধর করেছেন পুলিশের চ্যান্সেরি বিভাগের কনস্টেবল আরিফ। ঘটনাটি শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরের। তার বাবা পুলিশের এসপিবিএন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে কর্মরত বলে জানা গেছে।

car-2প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের কার্ডিওলজি বিভাগের সার্জন ডা. সাবরিনার ছেলে রাগীব মোহাম্মদ তিন বন্ধুকে নিয়ে একটি প্রাইভেট কারে চড়ে বনানী যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে শ্যামলীর মোড়ে রাগীবের গাড়ির সঙ্গে কনস্টেবল আরিফের মোটরসাইকেলে হালকা ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে প্রথমে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে আরিফ তার হেলমেট দিয়ে রাগীবের গাড়ির সামনের ও পেছনের কাচ ভাঙচুর করেন। এরপর রাগীবের দুই বন্ধু নাহিন আর মাহাদিকেও মারধর করেন আরিফ।হেলমেট পড়া কনস্টেবল আরিফ

এ সময় আশপাশের লোকজন কনস্টেবল আরিফকে আটক করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। পরে এ ঘটনায় আদাবর থানায় দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা করে পুলিশ।

কালাম নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা হঠাৎ দেখি সাদা পোশাকের একজন পুলিশ গাড়িটি ভাঙচুর ও একজনকে মারধর করছে। এ সময় জুমার নামাজ শেষ হওয়ায় রাস্তায় অনেক লোকজন ছিল। সবাই মিলে ওই পুলিশ সদস্যকে মারধরের কারণ জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এ কারণে সাধারণ মানুষ তাকে ঘেরাও করে রাখে। পরে থানা পুলিশ এসে তাকে নিয়ে যায়।’

crowdশ্যামলী ট্রাফিক বক্সের কর্তব্যরত ট্রাফিক কনস্টেবল রেজাউল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘আমি দুপুর ২টা থেকে ডিউটি শুরু করেছি। এখানে এসে দেখি দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। পরে পুলিশ এসে দুই পক্ষকেই নিয়ে গেছে।’

রাগীবের আরেক বন্ধু অরিত্র বললেন, ‘আমরা গাড়ি নিয়ে বের হচ্ছিলাম। হঠাৎ আরিফের মোটরসাইকেল সামনে চলে আসে। তবে তার মোটরসাইকেলের তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি। আরিফ হঠাৎ গাড়ি থেকে নেমে হেলমেট দিয়ে গাড়ি ভাঙচুর শুরু করেন। এরপর হাতের লাঠি দিয়ে আমাদের মারতে থাকেন। আমরা অনেক অনুরোধ করার পরও তিনি কোনও কথা না শুনে বেদম পেটাচ্ছিলেন।’crowd-1

আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত)আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘দুই পক্ষকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। ভুক্তভোগীরা মামলা করলে আমরা তা নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেবো।’