এ সময় আশপাশের লোকজন কনস্টেবল আরিফকে আটক করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। পরে এ ঘটনায় আদাবর থানায় দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা করে পুলিশ।
কালাম নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা হঠাৎ দেখি সাদা পোশাকের একজন পুলিশ গাড়িটি ভাঙচুর ও একজনকে মারধর করছে। এ সময় জুমার নামাজ শেষ হওয়ায় রাস্তায় অনেক লোকজন ছিল। সবাই মিলে ওই পুলিশ সদস্যকে মারধরের কারণ জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এ কারণে সাধারণ মানুষ তাকে ঘেরাও করে রাখে। পরে থানা পুলিশ এসে তাকে নিয়ে যায়।’
রাগীবের আরেক বন্ধু অরিত্র বললেন, ‘আমরা গাড়ি নিয়ে বের হচ্ছিলাম। হঠাৎ আরিফের মোটরসাইকেল সামনে চলে আসে। তবে তার মোটরসাইকেলের তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি। আরিফ হঠাৎ গাড়ি থেকে নেমে হেলমেট দিয়ে গাড়ি ভাঙচুর শুরু করেন। এরপর হাতের লাঠি দিয়ে আমাদের মারতে থাকেন। আমরা অনেক অনুরোধ করার পরও তিনি কোনও কথা না শুনে বেদম পেটাচ্ছিলেন।’
আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত)আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘দুই পক্ষকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। ভুক্তভোগীরা মামলা করলে আমরা তা নিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেবো।’