যুগ্ম কমিশনার বলেন, ‘গ্রেফতার হওয়া তিন জনকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তবে সরকারি কর্মচারীদের ঘুষ লেনদেনের মামলা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) শিডিউলভুক্ত হওয়ায় মামলাটির তদন্ত করবে দুদক। আজই মামলার নথিপত্র দুদক কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’
আবদুল বাতেন আরও বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার হওয়া তিন জনই ঘুষ লেনদেনের কথা স্বীকার করেছেন। এছাড়া লেকহেড স্কুলের পরিচালক খালিদ হাসান মতিনের বিরুদ্ধে জঙ্গি সম্পৃক্ততা ও জঙ্গি অর্থায়নের অভিযোগ রয়েছে। তদন্তে জঙ্গি সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেলে মতিনের বিরুদ্ধে আলাদা করে মামলা হবে।’
গ্রেফতারের ২৪ ঘণ্টার পরও আসামিদের আদালতে না পাঠানোর প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রবিবার (২১ জানুয়ারি) রাতে গ্রেফতারের পর তাদের কাছ থেকে যে নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে তা জব্দ তালিকায় নথিভুক্ত করতে সময় লাগে। এই কারণে সোমবার সকালে তাদের গোয়েন্দা কার্যালয়ে আনা হয়। সেই হিসেবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এই ক্ষেত্রে আইনের কোনও ব্যত্যয় হয়নি।’
প্রসঙ্গত, শিক্ষামন্ত্রীর পিও মোতালেব হোসেন, মন্ত্রণালয়ের গ্রহণ ও বিতরণ শাখার উচ্চমান সহকারী নাসিরউদ্দিন এবং লেকহেড গ্রামার স্কুলের পরিচালক খালেক হোসেন মতিনকে রবিবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গ্রেফতার করে। গুলশান ও বছিলা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।