মুক্তিযুদ্ধের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়ার অভিযোগে মামলাটি হয়। মামলকারী জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিক জানান— ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় অংশ নেন খালেদা জিয়া। সেখানে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেছিলেন, ‘তিনি(বঙ্গবন্ধু) তো বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি, তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। আজকে বলা হয়, এত শহীদ হয়েছে, এ নিয়েও (মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা) অনেক বিতর্ক আছে।’
অন্য আসামি গয়েশ্বর চন্দ্র রায় গত বছরের ২৫ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে আলোচনা সভায় বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীরা নির্বোধের মতো মারা গেছে। একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা পাকিস্তানের বেতন-ভাতা খেয়েছেন তারা নির্বোধের মতো মারা গেলেন? আর আমাদের মতো নির্বোধরা শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে তাদের কবরে ফুল দেই। আবার না গেলে পাপ হয়।’
এসব বক্তব্য দেওয়ার মাধ্যমে তারা দণ্ডবিধির ৫০০ ধারার অপরাধ করেছেন বলে মন্তব্য জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকের। তাই ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে বাদি হয়ে মামলাটি করেন তিনি।