জয়নুল আবেদীনের ভাষ্য, ‘রাজনৈতিকভাবে খালেদা জিয়াকে আরও দীর্ঘদিন কারাগারে রাখার মতো করে শুনানি করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল। আমাদের পক্ষ থেকে আদালতকে বলা হয়েছে, তিনি এভাবে কথা বলতে পারেন না।’
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা প্রসঙ্গে এই আইনজীবীর দাবি, ‘আমরা আদালতকে বলেছি, খালেদা জিয়া একটি টাকাও আত্মসাৎ করেননি। ৬ কোটি টাকা এখনও ব্যাংকে জমা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ সত্য নয়।’
খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে আদালতের আদেশের কপি এখনও নিম্ন আদালতে যায়নি— এমন তথ্য উল্লেখ করেছেন জয়নুল আবেদীন। তার কথায়, ‘সরকার ও দুদক ঐক্যবদ্ধ হয়ে জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আদালতে গেছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ও খালেদা জিয়াকে দীর্ঘদিন কারান্তরীণ রাখতে তারা আপিল করেছে। চেম্বার জজে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষ একইরকম শুনানি করেছেন।’
চারটি বিষয় বিবেচনা করে খালেদা জিয়াকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। চেম্বার আদালতকে একথা জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। এরপর আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে মামলাটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন। বুধবার (১৪ মার্চ) এই মামলা আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় থাকবে ও শুনানি হবে।