খালেদা জিয়ার মামলার শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের বাইরে বেঞ্চ গঠনের আবেদন

 

৮ ফেব্রুয়ারি রায়ের পর আদালতে খালেদা জিয়াবিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল মামলাসহ সব রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মামলা সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের বাইরে নিষ্পত্তি করতে পৃথক বেঞ্চ গঠনের জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করা হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বরাবর আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।

আবেদনে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে রাজনৈতিক মামলার শুনানি থাকার কারণে কোর্টের বিভিন্ন গেট দিয়ে আইনজীবী, ক্লার্ক ও মক্কেলদের পুলিশ ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছে না। আবার ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর কয়েকজন আইনজীবী ঢুকতে দিলেও পুলিশের অযথা হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।

আবেদনে আরও বলা হয়, ১৬ কোটি মানুষের জন্য উচ্চ আদালত। এখানে ফরিয়াদি পক্ষ আসবে, জনগণ আসবে। কিন্তু পুলিশের বাধার কারণে আইনজীবীদের সঙ্গে তারা মুসাবিদা করতে পারছে না। এর ফলে পুলিশ সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করছে। তাই রাজনৈতিক মামলা নিষ্পত্তি ও শুনানির জন্য প্রয়োজনে সংবিধানের ১০০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের বাইরে অন্যত্র সার্কিট বেঞ্চ গঠন করুন।

প্রধান বিচারপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের সব গেট থেকে পুলিশ প্রত্যাহার, মহিলা আইনজীবীর সঙ্গে পুলিশের অসৌজন্যমূলক আচরণের বিচার প্রার্থনা ও সংবিধানের ১০০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাজনৈতিক মামলা শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য উচ্চ আদালতের অন্য বেঞ্চ গঠন করার আবেদন জানান এ আইনজীবী।

পরে আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ সাংবাদিকদের বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টে রাজনৈতিক মামলা চলার কারণে আমরা আইনজীবীরা অযথা হয়রানির শিকার হচ্ছি। এ কারণে খালেদা জিয়ার মামলাসহ সব রাজনৈতিক মামলা শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য সুপ্রিম কোর্টের বাইরে আলাদা বেঞ্চ গঠনের জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করেছি। প্রধান বিচারপতি এ আবেদন সম্পর্কে বিবেচনা করবেন বলে আশা রাখছি।’

প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগে (আপিল ও হাইকোর্ট) বিভিন্ন সময়ে নিম্ন আদালতের আপিলসহ বেশ কিছু মামলার শুনানি হয়। ক্ষেত্র ভেদে এসব মামলায় নিরাপত্তা আরোপ করতে সুপ্রিম কোর্টের প্রবেশ মুখে পুলিশকে দায়িত্ব পালন করতে হয়। উপযুক্ত পরিচয়পত্র না থাকায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও তাদের ক্লার্কদের বিভিন্ন নাজেহাল পরিস্থিতির শিকার হতে হয়। তবে সবচেয়ে বিপত্তিতে পড়তে হয় সুপ্রিম কোর্টে আসা বিচারপ্রার্থীদের।