রেইনট্রি হোটেলের ধর্ষণ মামলায় আরও ৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

রাজধানীর বনানীতে রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলায় আরও সাত জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। রবিবার (২২ এপ্রিল) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. সফিউল আজম এই সাক্ষ্য নেন। এসময় কারাগারে থাকা আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচ জন আদালতে হাজির ছিলেন।

রেইনট্রি হোটেলের ধর্ষণ মামলাসাক্ষ্য দেওয়া ব্যক্তিরা হলেন- রেইনট্রি হোটেলের কর্মচারী হেলাল মিয়া, ফরহাদ হোসেন, আক্তার বানু, শহিদুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান, আলী হোসেন রাজু ও ফারজানা বিথি। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যের জন্য আগামী ১৭ মে দিন ধার্য করা হয়েছে।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী তানভীর আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে এ মামলায় বাদীসহ ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। গত বছরের ১৬ অক্টোবর মামলায় বাদীর সাক্ষ্যের মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।’

গত বছরের ৭ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমি পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রটি আদালতে দাখিল করেন। ওই বছরের ১৯ জুন একই ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।

অভিযোগপত্রে, আসামি সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ওরফে এইচ এম হালিমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় ধর্ষণের অভিযোগ করা হয়েছে। অপর আসামি সাফাত আহমেদের বন্ধু সাদমান সাকিফ, দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে ওই আইনের ৩০ ধারায় ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগ করা হয়েছে।