পুলিশ জানায়, এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গ্রেফতার চার আসামিকে আদালতে হাজির করে তাদরে প্রত্যেকের সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত রাকিবুল হাসান ওরফে রাকিবের চার দিন, মাসুদ আলম ওরফে মাসুদের তিন দিন, আলী হোসেন শেখ ওরফে আলী ও আবু সাইদ ফজলে রাব্বী ওরফে সিয়ামের ২ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন গত ৯ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আখতারুজ্জামানের বাস-ভবনে অজ্ঞাত দুস্কৃতকারীরা প্রবেশ করে ব্যপক ভাঙচুর চালায়। দুস্কৃতকারীরা উপাচার্যের বাসার নিচে থাকা চারটি গাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় পরদিন ১০ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র সিকিউরিটি অফিসার এস এম কামরুল আহসান বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
শাহবাগ থানায় দায়ের করা ওই মামলার অভিযোগে বলা হয়, ০৯ এপ্রিল রাতে অজ্ঞাতনামা অনেক মুখোশধারী লোহার রড, পাইপ, হেমার, লাঠি হাতে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের বাসভবনের বাউন্ডারি ওয়াল টপকে ও ভবনের মূল ফটকের তালা ভেঙে ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়ে। এসময় তারা বাসভবনের মূল্যবান জিনিসপত্র, আসবাবপত্র, ফ্রিজ, টিভি, লাইট, কমোড ও বেসিনসহ অনেক মালামাল ভাঙচুর করে ক্ষতিসাধন করে। মূল্যবান সম্পদও লুট করে। এছাড়া ভবনের নিচে রাখা ২টি গাড়ি পুড়িয়ে দেয়। আরও ২টি গাড়ি ভাঙচুর করে। এছাড়া ভবনে রক্ষিত সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো ভেঙে ফেলে ও আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করে ফেলে ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে কেউই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নন। মাসুদ নামে গ্রেফতার হওয়া যুবক আলম ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্র। অন্য তিনজন কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র নয়। গ্রেফতারকৃত রাকিবের নামে বরিশাল ও লক্ষ্মীপুরে ৫টি মামলা রয়েছে বলেও জানান একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা।