হিটলারি কায়দায় সরকারি এজেন্টরা পেট্রোলবোমা ছুড়েছিল: খন্দকার মাহবুব

খন্দকার মাহবুব হোসেন

সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় সরকারি এজেন্টরা হিটলারি কায়দার কুমিল্লায় বাসে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে জনগণকে হত্যা করেছেন। এমনটাই অভিযোগ করেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন।

রবিবার (২৪ জুন) কুমিল্লায় নাশকতার দুই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল শুনানি শেষ হয়। এরপর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কুমিল্লায় বাসে পেট্রোলবোমা দিয়ে মানুষ হত্যার ঘটনাটিকে হিটলারের কাজের সঙ্গে তুলনা করেন। এ বিষয়ে খন্দকার মাহবুব হোসেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘ঘটনা সত্যিই হয়েছে। সরকারি এজেন্টরা হিটলারি কায়দার পেট্রোলবোমা এনে জনগণকে মেরেছে। বিরোধী দলের ওপর এর দোষ চাপিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে এরকম করেছে। আমরা দেখিয়ে দেবো কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। কারা পেট্রোলবোমা মেরেছে। আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে সরকারের এজেন্টরা পেট্রোলবোমা মেরে নাশকতা করেছে। তার দায়দায়িত্ব খালেদা জিয়ার নয়। তিনি ওই সময় গুলশান কার্যালয়ে অবরুদ্ধ ছিলেন। তিনি হরতাল ডেকেছিলেন ঠিকই, কিন্তু মানুষ হত্যা করতে বলেননি।’

তিনি বলেন, মামলার এফআইআরে ৫৬ জনের নাম ছিল। সেখানে খালেদা জিয়ার নাম ছিল না। দ্বিতীয়বারের (চার্জশিটে) অভিযোগপত্রে তার নাম ঢুকানো হয়েছে। দীর্ঘ সময় পর আমরা হাইকোর্ট থেকে খালেদা জিয়ার জামিন নিয়েছি। কিন্তু সরকার এর বিরুদ্ধে আপিল করে। আজকে অ্যাটর্নি জেনারেল সাহেব বিরোধিতা (খালেদা জিয়ার জামিনের বিরুদ্ধে) করেন। ৩০২ ধারায় (হত্যার অভিযোগে) দায়ের করা মামলার ওপর শুনানি করা হয়েছে। আগামী ২ জুলাই রায়ের জন্য দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।

খন্দকার মাহবুব হোসেন আরও বলেন, ‘আমরা লজ্জিত, আমরা ক্ষুব্ধ। আমরা বললাম (শুনানিতে) এ মামলায় অ্যাটর্নি জেনারেল ইচ্ছাকৃতভাবে জামিনে ব্যাপারে দেরি করছেন।’

তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি যখন এটার বিচার হবে, সাক্ষ্য-প্রমাণ দিয়ে আমরা প্রমাণ করবো। ৩০২ ধারার মামলাটির আজকে শুনানি সমাপ্ত করা হয়েছে। আগামীকাল একই ঘটনায় নাশকতার অভিযোগ এনে দায়ের করা মামলাটির জামিন বিষয়ে শুনানি শুরু হবে। আমরা বারবার আদালতকে বলেছিলাম খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ, তার ওপর বয়স হয়েছে, তাই মানবিক কারণে বেইল অ্যাপলিকেশন (জামিন আবেদন) করেছি। কিন্তু অ্যাটর্নি জেনারেল কোনও অজ্ঞাত কারণে মামলাটি দীর্ঘায়িত করছেন। আমরা এ ব্যাপারে ক্ষুব্ধ, লজ্জিত, দেশের সর্বোচ্চ আদালত ও অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছ থেকে এরকম আচরণ আশা করিনি।’

তিনি বলেন, ‘আগামীকাল সোমবার (২৫ জুন) মামলার জামিনের বিষয়ে শুনানি শুরু হবে। আমরা আশা করবো মানবিক দিক বিবেচনায় আদালত খালেদা জিয়ার জামিন নিশ্চিত করবেন।’