অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় আরও এক আসামি গ্রেফতার

অভিজিৎ রায়বিজ্ঞানমনস্ক লেখক অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। তার নাম শেখ আব্দুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের (২৭)। সে আনসার আল ইসলামের শুরা সদস্য।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পূর্ব গেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে সিটিটিসি’র একটি টিম।

সিটিটিসির একজন কর্মকর্তা জানান, চট্টগ্রামে এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আনসার-আল-ইসলামের এক শুরা সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে একজন সক্রিয় সদস্য। ব্লগার জুলহাস মান্নান, তনয়, নাজিমুদ্দীন সামাদ ও অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় জড়িত আসামি।

প্রাথমিক জিজ্ঞসাবাদে সে জানায়, ২০১৩ সালে আনসার-আল-ইসলাম সংগঠনে সে যোগদান করে। চট্টগ্রামসহ সারাদেশে সে দাওয়াতি কাজ করতো এবং সংগঠনের গোয়েন্দা শাখার প্রধান ছিল। আব্দুল্লাহ জঙ্গি সংগঠন এবিটি’র শুরা বোর্ডের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। সে ব্লগার জুলহাস মান্নান, তনয়, নাজিমুদ্দীন সামাদ ও অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে তথ্য প্রদান করেছে।

গ্রেফতারকৃত আসামিকে ১০ দিনের পুলিশ রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে আসেন প্রবাসী অভিজিৎ রায়। ২৬ ফেব্রুয়ারি সস্ত্রীক বইমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় টিএসসির সামনে অভিজিৎ ও তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যার ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান অভিজিৎ এবং গুরুতর আহত হন বন্যা। পরবর্তীতে ওই ঘটনায় অভিজিতের বাবা অধ্যাপক ড. অজয় রায় শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।