এর আগে গত ১১ মে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এ কে এম মাইদুল ইসলামের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।
আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘৩০ এপ্রিল সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত একটি গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এতে বলা হয়, চিলমারী উপজেলার চারটি ইউনিয়ন কুড়িগ্রাম-৪ আসনে অন্তর্ভুক্ত হবে। এই চার ইউনিয়ন হলো চিলমারী, রমনা, রানীগঞ্জ ও থানাহাট।’
এদিকে, ১০ জুন রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা জি এম সাহাতাব উদ্দিন কুড়িগ্রাম-৩ আসনের নির্বাচনের জন্য একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন। ওই গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২৪ জুন মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ। ২৬ জুন মনোনয়নপত্র বাছাই ও ৩ জুলাই প্রত্যাহারের শেষ দিন। আগামী ২৫ জুলাই ওই আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী এমএ মতিন ও জাপার প্রার্থী ডা. আক্কাছ আলী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
পূর্ববর্তী সীমানা অনুযায়ী এ আসনের বর্তমান ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৮১১ জন। আসনটিতে উলিপুর উপজেলার সাহেবের আলগা ইউনিয়ন বাদে বাকি অংশ এবং চিলমারী উপজেলার রমনা, থানাহাট, চিলমারী ও রানীগঞ্জ ইউনিয়ন অন্তর্ভুক্ত।
জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, ‘রিট আবেদনকারী এস এম মোস্তাফিজুর রহমান রমনা ইউনিয়নের বাসিন্দা। ৩০ এপ্রিলের গেজেট মতে তিনি কুড়িগ্রাম-৪ এর বাসিন্দা হলেও এ নির্বাচনে তাকে ভোট দিতে বলা হয়েছে কুড়িগ্রাম-৩-এ। এটা তো ঠিক হলো না। তাই তিনি এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেছেন। এ অবস্থায় নির্বাচনও স্থগিত চাওয়া হয়েছে। নির্বাচন ২৫ তারিখ। যদি এরমধ্যে সব ঠিক করা হয়, তাহলে ২৫ তারিখ নির্বাচন হতে আর বাধা থাকবে না।