প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বলেন, ‘হজ এজেন্সিগুলোতে অনিয়মের বিষয়ে দুদকের অভিযোগ কেন্দ্রের ১০৬ নম্বরে অভিযোগ আসে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে উপ-পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা ও সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের সমন্বয়ে পুলিশসহ নয় সদস্যের একটি দল রাজধানীর নয়াপল্টনে কয়েকটি হজ এজেন্সিতে অভিযান চালায়। এ সময় দুদকের দলটি কাজী টাওয়ারে অবস্থিত কাজী এয়ার ইন্টারন্যাশনাল-এ সরেজমিন অভিযানে যায়। অভিযানে ওই হজ এজেন্সির কাছে প্রকৃত হাজির সংখ্যার সমর্থনে কোনও কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। নিবন্ধন করা প্রত্যেক হজ এজেন্সির কমপক্ষে ১৫০ জন যাত্রী পাঠানোর বাধ্যবাধকতা থাকলেও এই হজ এজেন্সি মাত্র ৭৫ জন হজ যাত্রী পাঠিয়েছে বলে জানায়। এছাড়া সৌদি আরবে হজযাত্রীদের বাড়িভাড়া, মুয়াল্লাম ফি ও অন্যান্য রশিদপত্র পাওয়া যায়নি এই হজ এজেন্সিতে।’
দুদকের এই উপপরিচালক আরও জানান, দুদকের দলটি একই টাওয়ারে কাজী ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরস-এর কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখতে পায়, এই হজ এজেন্সি গত বছরের অডিটে চার লক্ষাধিক টাকার কর ফাঁকি দিয়েছে। এত বড় অঙ্কের রাজস্ব ফাঁকির ঘটনার পরও কিভাবে এ এজেন্সি অনুমোদন পেলো, তা রীতিমত বিস্ময়কর। দুদকের এই দলের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন পাওয়ার পর এসব অনিয়ম প্রতিরোধকল্পে সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।’
এ সময় দুদকের পক্ষ থেকে উপস্থিত হজযাত্রীসহ সবার কাছে দুর্নীতিবিরোধী লিফলেট ও দুদকের হটলাইন নম্বর (১০৬) এর স্টিকার বিতরণ করা হয়। এর আগে গত ২ জুলাই, ৪ জুলাই, ০৯ জুলাই এবং ১৫ জুলাই রাজধানীর একাধিক হজ এজেন্সিতে অভিযান চালিয়েছে দুদক।
এই প্রসঙ্গে অভিযানের সমন্বয়কারী দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী জানান, ‘আমাদের লক্ষ্য, হজকেন্দ্রিক দুর্নীতির সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া এবং অভিযানের মাধ্যমে হজযাত্রীদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সচেতন করে তোলা।’