রাজশাহীর সাদ হত্যায় মামলা: সাজা কমিয়ে তিন আসামিকে যাবজ্জীবন

 

রাজশাহী মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র নাদিমুজ্জামান সাদ হত্যা মামলায় তিন আসামিকের বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) মামলার ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি শেষে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ড থেকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলো—সাদের বাল্যবন্ধু আল-আওয়াল কোয়েল (২০), সুইট রেজা (২১) ও মাসুদ ইবনে আলী শাওন (১৯)। আর যাবজ্জীবন বহাল থাকা আসামি হলো কায়সার আহমেদ অনিক (২০)।

আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এস এম শাহজাহান ও এ কে এম ফজলুল হক ফরিদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান রুবেল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হাতেম আলী ও মারুফা শিউলী।

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান রুবেল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলায় আসামিদের মৃত্যুদণ্ড সাজা চেয়ে আমরা আপিল করবো।’

মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, রাজশাহীর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলামের ছেলে সাদকে ২০১২ সালের ১৭ জানুয়ারি পিকনিকের কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে তার বন্ধুরা। পরে সাদের লাশ ছাত্রাবাসের সেপটি ট্যাংকিতে ফেলে দেওয়া হয়।

এরপর কয়েকদিন খুঁজেও ছেলের সন্ধান না পাওয়ায় ২০১২ সালের ২৫ জানুয়ারি সাদের বাবা রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় অপহরণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ মোবাইল ফোনের কললিস্ট দেখে একজনকে গ্রেফতার করে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অন্য আসামিদের গ্রেফতার করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।

এরপর দীর্ঘ শুনানি শেষে ২০১২ সালের ৮ নভেম্বর রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ হোসেন শহীদ আহমেদ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে অভিযুক্ত তিন বন্ধুর মৃত্যুদণ্ড ও একজনের যাবজ্জীবনের আদেশ দেন আদালত। তবে অন্য দুই আসামী রাশেদুল ইসলাম বিপু ও ইশরা হক ঐশীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেন আদালত।

পরে ওই রায়ের ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের পৃথক পৃথক আপিলের ওপর হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়। মঙ্গলবার (১৪ আগস্ট) ওইসব আবেদনের শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।