দুদক আইনজীবীকে খালেদা জিয়া

আপনাকে তো আওয়ামী লীগের মন্ত্রী বানিয়ে দেওয়া উচিত

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজলবিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আদালতে দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজলকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘আপনাকে তো আওয়ামী লীগের মন্ত্রী বানিয়ে দেওয়া উচিত। তখন দুদকের আইনজীবী কাজল বলেন, ম্যাডাম আপনি দোয়া করবেন।’ বুধবার (১৪ নভেম্বর) বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির সময় তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘একজন নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত আর আমরা মামলা নিয়ে। সেভেন মার্ডারসহ অন্য মামলাগুলোর স্বাভাবিক নিয়মে বিচার হচ্ছে। আমাদেরটা দ্রুত বিচার হচ্ছে কেন?’

এদিকে নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি আগামী ৩ জানুয়ারি ধার্য করেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) ঢাকার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালত ৯-এর বিচারক মাহমুদুল কবির এ আদেশ দেন।

এর আগে খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয় ১১টা ৫৮ মিনিটে। এরপর বিচারক তার এজলাসে আসেন ১২টায়। তারপর এই মামলার আসামি মওদুদ আহমদের পক্ষে শুনানি শুরু হয়। তখন মওদুদ আহমদ তার নিজের পক্ষে অভিযোগ গঠন শুনানি নিজেই করেন।

খালেদা জিয়া আদালতে প্রবেশ করার পর বলেন, ‘পুলিশ আদালতে সিকিউরিটি দেবে ঠিক আছে? কিন্তু আদালতের ভেতরে এত সিকিউরিটি দেওয়ার কি আছে? আমি তো ল’ইয়ারকে দেখছি না।’ পুলিশ খালেদা জিয়াকে ঘিরে রাখায় তিনি তার আইনজীবীকে দেখতে না পেয়ে একথা বলেন।

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকার খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুদক।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে ‘তুলে দেওয়া’র মাধ্যমে আসামিরা রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক এমপি এমএএইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া-বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।