র্যাব ১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম বাংলা ট্রিবিউনকে একথা জানিয়েছেন।
অপু বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরীয়তপুর-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন।
গত ২৪ ডিসেম্বর মতিঝিল সিটি সেন্টারের ২৭ তলার ইউনাটেড করপোরেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ৮ কোটি টাকা উদ্ধার করে র্যাব। ওই ঘটনায় মতিঝিল থানায় একটি মানি লন্ডারিং মামলা করে র্যাব। মামলাটির চার নম্বর নামীয় আসামি নূর উদ্দিন অপু। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তদন্ত করছে।
সারোয়ার বিন কাশেম বলেন, ‘মতিঝিল থানার মানি লন্ডারিং মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তিনি এজাহারের ৪ নম্বর নামীয় আসামি। তাকে সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হবে। তারাই আইনগত ব্যবস্থা নেবে।’
র্যাব কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গত কয়েক মাসে ইউনাইটেড করপোরেশন থেকে ‘কয়েকশ’কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। বিদেশ থেকে এসব টাকা আসছে। মূলত বিএনপি জামায়াতের প্রার্থীদের কাছে বিভিন্ন সময় এ টাকা সরবরাহ করা হয়েছে।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন কেন্দ্রিক মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত তিনটি প্রতিষ্ঠানেরই মালিক বিএনপির নেতাকর্মীরা। তাদের মধ্যে ইউনাইটেড করপোরেশনের মালিক মাহমুদুল হাসান। তার বিরুদ্ধে সোনা চোরাচালানের অভিযোগ রয়েছে। আদালত থেকে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও রয়েছে। অপর প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজের মালিক আতিকুর রহমান। তিনি ঝালকাঠি জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি। গুলশানের আমেনা এন্টারপ্রাইজের মালিক তারেক রহমানের সাবেক পিএস মিয়া নূর উদ্দিন অপু।
নির্বাচনের আগে অপুকে তিন কোটি ৬০ লাখ টাকা দেওয়া হয় এই ইউনাইটেড করপোরেশন থেকে। টাকা উদ্ধারের সময় ওই অফিসটিতে অপুর নির্বাচনি পোস্টার ও তার সংসদীয় আসনের ভোটার লিস্ট পাওয়া যায়।