বুধবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ- ৩ এর বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যক আসামিকে দুই হাজার ৭০২ কোটি ৪১ লাখ ১১ হাজার ৭৮৪ টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, শহীদুজ্জামান শাহিন (চেয়ারম্যান), মোহাম্মদ মুনতাসির হোসেন (ব্যবস্থপনা পরিচালক), মাসুদুর রহমান, এম. জামসেদ রহমান, মঞ্জুর এহসান চৌধুরী, এইস এম. আরশাদ উল্লাহ।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে মোহাম্মদ মুনতাসির হোসেন, এম জামসেদ রহমান, এইস এম আরশাদ হাজির ছিলেন। রায় ঘোষণার পর সবাইকে সাজা পরোয়ানা ইস্যু করে কারাগারে পাঠানো হয় তাদের।
বাকি তিন আসামি শহীদুজ্জামান শাহিন, মাসুদুর রহমান, এম জামসেদ রহমান, মঞ্জুর এহসান চৌধুরী মামলার শুরু থেকে পলাতক ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে আদালত সাজা পরোয়ানা ইস্যু করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন দুদুকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি দুদকের সহকারী পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম শাহবাগ থানায় মানি লন্ডারিং আইনে মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে প্রায় সাড়ে ১৩শ’ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ করা হয়। ওই বছরের ২২ জুন তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে এ মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন। এরপর ২০১৫ সালের ৬ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। মামলা চলাকালে বিভিন্ন সময় ২৩ জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন আদালত।