রাজধানীর মগবাজারে একটি আবাসিক হোটেল থেকে উদ্ধার হওয়া একই পরিবারের তিন সদস্য—স্বামী, স্ত্রী ও তাদের শিশুসন্তানের মৃত্যুরহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। সোমবার (৩০ জুন) দুপুর ২টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে তাদের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদনে খাদ্যে বিষক্রিয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসক।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক ডা. জাকিয়া তাসনিম ময়নাতদন্ত করেন। তিনি জানান, ‘তিনটি মরদেহের উপসর্গ দেখে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, তাদের মৃত্যু খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণেই হয়ে থাকতে পারে। মরদেহ থেকে রক্ত ও ভিসেরা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য মহাখালীর পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে এলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিতভাবে বলা যাবে।’
এর আগে তিন জনের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন রমনা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জালাল উদ্দিন। তিনি জানান, মরদেহে আঘাতের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বিষাক্ত কিছু খাওয়ার পরই তাদের মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, ‘বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। হোটেল থেকে সংগ্রহ করা খাবারের স্যাম্পল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে কিছু সময় লাগবে।’