ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন

খালেদা জিয়াবিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও জাতিগত বিভেদ সৃষ্টির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জামিনের আবেদন করেছেন তার আইনজীবীরা। সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মহানগর হাকিম জসিম উদ্দিনের আদালতে জামিনের এ আবেদন করেন। তবে বিচারক এ বিষয়ে কোনও আদেশ দেননি। মামলার বাদী এ বি সিদ্দিকী বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানান।

এ বি সিদ্দিকী বলেন, ‘সোমবার মামলাটি বিচারক জামিনের বিষয়ে কোনও আদেশ দেননি। আদেশ পরে দেবেন বলে আদালত থেকে জানানো হয়েছে।’

এ দিন খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার জামিন শুনানি করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া কোনও অপরাধ করেননি। রাজনৈতিকভাবে তাকে হয়রানি করতে এ মামলা করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে অন্য মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। যে মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন আমরা আশা করছি, অতি দ্রুত তিনি জামিন পেয়ে মুক্ত হবেন। তাই এ মামলায় জামিনের আবেদন করছি।’

অন্যদিকে, বাদীপক্ষের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক নথি পর্যালোচনায় আদেশের জন্য রাখেন।

এর আগে গত ২০ জানুয়ারি কারাগারে থাকা খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন একই আদালত।

মামলার অভিযোগ ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর বিকালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) এর মিলনায়তনে শুভ বিজয়া অনুষ্ঠানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে খালেদা জিয়া বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধর্ম নিরপেক্ষতার মুখোশ পরে আছে। আসলে দলটি ধর্মহীনতায় বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগের কাছে কোনও ধর্মের মানুষ নিরাপদ নয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করেছে। হিন্দুদের ওপর হামলা করেছে।’
মামলায় বলা হয়, খালেদা জিয়ার এসব বক্তব্য যেমন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে, তেমনি হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে শ্রেণিগত বিভেদও সৃষ্টি করেছে।

ওই ঘটনায় গত ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর এ বি সিদ্দিকী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

এরপর মামলাটি গত ৩০ জুন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার ওসি (তদন্ত) জাফর আলী বিশ্বাস। পরবর্তীতে এ মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার আবেদন করেন তিনি।