র্যাব-৩ এর অধিনায়ক এমরানুল হাসান সোমবার দুপুরে কাওরান বাজার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আশেক তার ফেসবুক পেজে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তিকর, বিতর্কিত ও কটাক্ষপূর্ণ মন্তব্য করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী প্রপাগান্ডা চালিয়েছে। এছাড়াও তিনি জাতীয় নেতাদের সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও ছবি পোস্ট করেছেন।
জিজ্ঞাসাবাদে আশেক জানায়, ছাত্রজীবন থেকে তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে ছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিষয়ে অধ্যয়নকালে বঙ্গবন্ধু হলের ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ছিলেন।
আশেক নিজেকে নাটোর জেলার স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি এবং নাটোর জেলা জাতীয়তাবাদী সাইবার দলের সভাপতি বলে দাবি করছেন।
র্যাব কর্মকর্তার অভিযোগ, ফেব্রুয়ারিতে পুলিশ সাইবার অপরাধী হিসেবে তাকে আটক করেছিল। এরপর মুচলেকা দিয়ে তিনি ছাড়া পান। তাকে এসব অপপ্রচারের বিষয়ে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল। তিনি ইতালি থেকে ফিরে নিজেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গেও মিশে যাওয়ার চেষ্টা করে। বিভিন্ন কার্যক্রমের অংশ নিতো। এর আড়ালে তিনি এসব অপপ্রচারের লিপ্ত ছিল। তার বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা হয়েছে।