কিন্তু গত ১৪ মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এক চিঠিতে জানিয়েছে, আসাদুল ইসলাম নামে কোনও যুগ্ম সচিব রাজস্ব বোর্ডে নেই। ওয়ার্ক অর্ডারটি ভুয়া এবং এই ওয়ার্ক অর্ডারের সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কোনও সম্পৃক্ততা নেই। র্যাব-৩ এর অধিনায়ক বরাবর পাঠানো এই চিঠিতে ভুয়া ওয়ার্ক অর্ডার ও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির পেছনে যারা রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানায় রাজস্ব বোর্ড।
র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. এমরানুল হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমরা চিঠি পাওয়ার পর ঘটনার তদন্ত শুরু করি। ১৫ এপ্রিল বিকালে মালিবাগ চৌধুরীপাড়া এলাকা থেকে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। তারা দীর্ঘদিন এভাবে ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির প্রকাশ করে চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।’
এই প্রতারকদের গ্রেফতার অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাব-৩ এর অপারেশন অফিসার অ্যাডিশনাল এসপি এ বি এম ফয়জুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রতারক চক্রের দুজন হলেন- হারুন অর রশিদ অরফে পরাগ (৫৪) ও মো. নুরুল ইসলাম শেখ (৫৬)। তারা গত ১০ মার্চ ‘দৈনিক প্রতিদিন নামে’ একটি পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়।
এতে বলা হয়, ট্যাক্স আদায়ের জন্য এসএসসি পাশ লোক আবশ্যক। পরবর্তীতে বিষয়টি এনবিআরের নজরে আসে। তারা আমাদের একটি চিঠি দিয়ে এটা জানায়। আমরা প্রতারকদের গ্রেফতার করেছি। তাদের বিরুদ্ধে রামপুরা থানায় মামলা হয়েছে।
বিভিন্ন পদে লোক নিয়োগের নামে চাকরি প্রত্যাশী লোকজনের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা আদায়ের মাধ্যমে প্রতারণা করে আসছিল। যা তারা তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে স্বীকার করেছে।
রামপুরা থানার এসআই শরীফ জানান, প্রতারণার মামলায় তাদের আদালতে পাঠানোর পর আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়েছে। আসামিরা বর্তমানে কারাগারে রয়েছে।