ইসি সচিবালয়ে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগের নতুন বিজ্ঞপ্তি কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট

হাইকোর্টনির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের আওতাধীন অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়া ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের চাকরি সরকারের রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত না করে নতুন করে দেওয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে কর্মসংস্থাপন মন্ত্রণালয় সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয় সচিব, নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট দশ বিবাদীকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. আবদুল্লাহ আল মামুন।
পরে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘২০০৭ সাল থেকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ডাটাবেজ আপডেট করার জন্য ভোটার তালিকা হালনাগাদের কার্যক্রম শুরু করে। বিভিন্ন মেয়াদে হালনাগাদ কার্যক্রম চলমান রাখা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত ১ হাজার ১৩০ জনকে নির্বাচন কমিশনের মাঠ পর্যায়ের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদে আইডিইএ প্রজেক্টের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়। প্রকল্পটির মেয়াদ গত ৩০ জুন শেষ হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও এতে অস্থায়ী নিয়োগপ্রাপ্তদের চাকরি সরকারের রাজস্বখাতে অন্তর্ভুক্ত না করেই নির্বাচন কমিশন গত ২০ মে ৪৬৮ জনকে নিয়োগের জন্য নতুন করে সার্কুলার প্রকাশ করে। পরে ওই সার্কুলার চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। সে রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন।