সাব রেজিস্ট্রারসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে চার মামলার অনুমোদন দুদকের

দুদকজালিয়াতির মাধ্যমে জমির শ্রেণি পরিবর্তন ও রেজিস্ট্রেশন করে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে গাজীপুর সদর সাব-রেজিস্ট্রার, দলিলদাতা, গ্রহীতা ও দলিল লেখকসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে চারটি মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রবিবার (২৬ মে) দুদক প্রধান কার্যালয় থেকে মামলা চারটি অনুমোদন দেওয়া হয়। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

চার মামলায় যাদের আসামি করা হবে তারা হলেন, সাবেক সাব-রেজিস্ট্রার গোলাম ফারুক, দলিলদাতা মো. এখলাছ উদ্দিন চৌধুরী, মো. শফিকুল ইসলাম, খাতেমুন নেছা, রোকিয়া বেগম, রাশিদা বেগম, আনোয়ারা বেগম, মো. শামসুল হক, মো. এনামুল হক,  দলিল গ্রহীতা এমদাদ হোসেন ফিরোজ, গ্রহীতা  মো. আনোয়ার হোসাইন,  মো. দেলোয়ার হোসাইন, মো. ওমর ফারুক, মো. এনামুল হক, আমিরুল ইসলাম, দলিল লেখক জুয়েল আহম্মেদ, ওয়াসিম শেখ, মো. মো. আবু জাফর, মো. সেলিম মিয়া ও মো. তোফাজ্জল হোসেন। তবে, দলিলদাতা মো. ফাহাদ নাবালক হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে না। 

প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, এই জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে ২০১৫ সালের নভেম্বর মাস। এই ঘটনার অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা হলেন দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. ফজলুল বারী। এই ২০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, তারা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির আশ্রয়ে জমির শ্রেণি পরিবর্তনের মাধ্যমে ২ লাখ ২০ হাজার ৬১০ টাকার সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন। মামলা হবে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ-২ নম্বর আইনেরে ৫(২) ধারায়।