রিমান্ডের আবেদনে বলা হয়েছে, লেকহেড গ্রামার স্কুলের সাবেক শিক্ষক তেহজীব করিম জামাতুল মুসলিমিনের (জেএম) সক্রিয় সদস্য। ২০১০ সালে সে ইয়েমেনের জঙ্গিনেতা আনওয়ার আল আওলাকির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিল। সেখানে ১০ মাস কারাভোগ করে। তার মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হয়ে বড় ভাই রাজিব করিম আল কায়েদা মতাদর্শী হয়ে এয়ারওয়েজে হামলার পরিকল্পনা করেছিল। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আদালত রাজিব করিমকে ৩০ বছর কারাদণ্ডাদেশ দেন। বর্তমান রাজিব করিম লন্ডনে কারাবন্দি।
আবেদনে আরও বলা হয়, আসামি ইয়াছিন মোহাম্মদ আ. সামাদ তালুকদার জঙ্গিসংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের আমির মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানীর একনিষ্ঠ ভক্ত। তার হাতেমবাগ মসজিদে নিয়মিত যাতায়াত করত ইয়াছিন। এই সময় জেহাদি লেকচারের ভিডিও এডিটিং করে বিভিন্ন অনলাইন গ্রুপে পোস্ট করার নির্দেশ দিতো ইয়াছিন। জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধকরণের মূল পরিকল্পনাকারী এ মামলায় গ্রেফতার রিজওয়ান হারুনের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। আসামিদের মদদে বাংলাদেশের প্রথম আল কায়েদার মতাদর্শী জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুসলিমিন প্রতিষ্ঠিত হয়।
এ দুই আসামিসহ অন্য সদস্যরা ঢাকা শহরে বিভিন্ন বাসা, মসজিদ ও হারুন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের নিজস্ব অফিসকে বয়ান কার্যক্রমের জন্য ব্যবহার করতো।
এদিকে, ইয়াছিন মোহাম্মদ আ. সামাদ তালুকদারের পক্ষে ছিলেন,আইনজীবী মেরিনা আক্তার। তেহজীব করিমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শারমিন সুলতানা হ্যাপি। তারা আসামিদের রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।
এরআগে, গত ১৭ মে ভোরে বনানী গাউসুল আযম মসজিদের সামনে থেকে এই দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। ২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারি ডিবি পুলিশের এসআই মনিরুল ইসলাম মৃধা মামলাটি দায়ের করেন।