মুরাদ রেজা বলেন, ‘ওই গেজেট হয়েছে ১২ মে। পরে মামলাটি কেরানীগঞ্জের আদালতে ১৯ ও ৩০ মে দু’টি আদেশ হয়। মামলাটি অভিযোগ গঠনের জন্য ছিল। খালেদা জিয়া ওখানে যাননি। তিনি না যাওয়ার কারণে আদালত অভিযোগ গঠনের জন্য ২৩ জুন পুনরায় দিন নির্ধারণ রেখেছেন। গেজেটের পর দু’দিন তার আইনজীবীরা কেরানীগঞ্জের আদালতে গিয়ে শুনানি করেছেন। তারপর এসে গেজেট চ্যালেঞ্জ করেছেন। একইসঙ্গে তারা যে দু’দিন কেরানীগেঞ্জর আদালতে গিয়ে শুনানি করেছেন তা রিটের শুনানিতে হাইকোর্টকে বলেননি।’
তিনি বলেন, ‘২৮ মে হাইকোর্টে রিটটি শুনানি শুরু করেছিলেন। শুনানিকালে তাদেরকে (আইনজীবীদের) কেরানীগঞ্জের আদালতের দু’টি আদেশ আনতে বলেন হাইকোর্ট। আইনজীবীরা আদেশ দু’টি ১০ জুন হাইকোর্টে জমা দিয়েছেন। তা এফিডেবিট করতে সময় চেয়েছেন। এরপর আজ (মঙ্গলবার) তারা (আইনজীবীরা) সেই আদেশ এফিডেবিট আকারে কোর্টে দাখিল করে খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী বক্তব্য রাখলেন। কিন্তু তিনি আদালতকে বলতে পারলেন না যে তিনি এ মামলায় রুল শুনানি করছেন নাকি আরও সময় চাচ্ছেন। আদালত তাকে বলেন, তাহলে আপনারা এই রিট নিয়ে হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে আসলেন কেন? আপনাদের তো আসাই উচিত হয়নি। এসময় ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ আদালতকে বলেন, এই রিটটি অন্য আদালতে যাক, সেখানে শুনানি করা হবে। এভাবেই খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা ও সিদ্ধান্তহীনতার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয়,তারা এ মামলায় সময়ক্ষেপণ করতেই নতুন গেজেটটি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেছেন।’
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২১ মে খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী কায়সার কামাল সংশ্লিষ্ট প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার চেয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে একটি আইনি নোটিশ পাঠান।