৩-৪ বছর ধরে ইয়াবা পাচারে যুক্ত শ্যামলী পরিবহনের চালক: র‍্যাব

শ্যামলী গাড়ির চালক নূরে আলমশ্যামলী পরিবহনের চালক নূরে আলম (৪২) নিয়মিত ইয়াবা পাচার করতেন। গত ৩/৪ বছর ধরে তিনি এ কাজ করছেন। তিনি নিজে ইয়াবাতে আসক্ত হওয়ায় বিভিন্ন অঞ্চলের মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ওঠে। সেই সুবাদে নুরে আলম নিয়মিত কক্সবাজার থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে বাসে লুকিয়ে ঢাকা-গাজীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করতেন।   এমনটাই জানিয়েছেন র‍্যাব-২ এর কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার (এসপি) মহিউদ্দিন ফারুকী।
শুক্রবার (১৪ জুন) সকাল ১০টার দিকে মহাখালী রেলগেটের পশ্চিম পাশে একটি হোটেলের সামনে শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসে (ঢাকা মেট্রো-ভ ১৫ ২২৯৬) তল্লাশি চালিয়ে ৫ হাজার ইয়াবাসহ চালক নূরে আলমকে আটক করে র‍্যাব-২। গাজীপুরের মাওনায় মাদক কারবারি মমতাজ ওরফে বোম্বে মমতাজ নূরে আলমের নিয়মিত কাস্টমার ছিলেন। পরে তার দেওয়া তথ্যে ভিত্তিতে মাওনায় অভিযান চালিয়ে আরও ৫ হাজার পিস ইয়াবা, নগদ ৩৮ হাজার টাকা ও মমতাজসহ ৫ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে র‍্যাব। এছাড়া মাদক ব্যবসা ব্যবহৃত সাতটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
কোম্পানি  কমান্ডার এসপি মহিউদ্দিন ফারুকী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নূরে আলম  এর আগেও একাধিকবার ইয়াবার চালান নিয়ে ঢাকায় এসেছেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়।পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মমতাজ, কক্সবাজার থেকে আসা ৩ মাদক বহনকারীসহ মোট ৫ জনকে আটক করা হয়।’  

আটক ছয়জনতিনি বলেন, নুরে আলম কক্সবাজার থেকে আসা দুই নারী ও একজন পুরুষ যাত্রীর কাছ থেকে প্রথমে ৫ হাজার ইয়াবা দিয়েছিলেন। তারা বাস থেকে নেমে মাওনার উদ্দেশে রওনা করেন। নূরে আলমের কাছে ২ হাজার এবং বাসের সিটের পেছনে ৩ হাজার ইয়াবা লুকিয়ে রেখেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে নূরে আলম জানায়, ইয়াবা মিয়ানমার থেকে রামু হয়ে কক্সবাজারের চকরিয়ায় আসে। তারপর সেখান থেকে ইয়াবাগুলো সে রিসিভ করে। কৌশলে শ্যামলী পরিবহনের বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে ঢাকা নিয়ে আসেন। মাওনা এলাকার মমতাজ তার নিয়মিত কাস্টমার। মমতাজ চাহিদা দিলে সে অনুযায়ী ইয়াবা এনে দিতেন তিনি। প্রতি পিস হায়ারার জন্য ৫-১০ টাকা কমিশন নিয়ে থাকে। আসামিদের বিরুদ্ধে তেঁজগাও থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন  ২০১৮ অনুযায়ী মামলা প্রক্রিয়াধীন।