আলহাজ মকবুলের লোক পরিচয়ে বাংলা ট্রিবিউন অফিসে জোর করে ৬ জনের প্রবেশ

জিডির-কপিসাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ মো. মকবুল হোসেনের লোক পরিচয় দিয়ে ছয় জন লোক বাংলা ট্রিবিউন কার্যালয়ে জোর করে প্রবেশ করেছেন। এই ঘটনায় বাংলা ট্রিবিউনের মানবসম্পদ বিভাগের সহকারী ম্যানেজার আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে শেরে বাংলানগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। শনিবার (১৫ জুন) দুপুর ১২টা ৫৩ মিনিটের সময় পান্থপথে এফআর টাওয়ারে অবস্থিত বাংলা ট্রিবিউন কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।  শেরে বাংলানগর থানার কর্তব্যরত কর্মরত এসআই আব্দুর রশীদ জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।’

প্রত্যক্ষদর্শী বাংলা ট্রিবিউনের কর্মীরা বলেন, ছয় জন লোক কোনও পরিচয় না দিয়েই অফিসে প্রবেশ করেন। সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে দায়িত্বশীল ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাতের আগ্রহ প্রকাশ করেন তারা। এ সময় তারা নিজেদের সিটি ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও সাবেক এমপি মকবুল হোসেনের লোক বলে পরিচয় দেন। তারা কী বিষয়ে কথা বলতে চান, জানতে চাইলে তা সাবেক এমপি মকবুল হোসেন টেলিফোনে বলবেন বলেও তারা জানান। এ সময় দায়িত্বশীল ব্যক্তি মিটিংয়ে আছেন বলে জানালে সিটি ইউনিভার্সিটির সহকারী রেজিস্ট্রার পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তি (নাম প্রকাশে অস্বীকার করে) টেলিফোনে কাউকে বলতে থাকেন, ভেতরে কোথায় মিটিং হচ্ছে, তা জানলে তিনি সেই রুমে চলেও যেতেন বলে উল্লেখ করেন।   

নিরাপত্তাপ্রহরী অখিলচন্দ্র বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী নিচতলা থেকে ওপরের যেকোনও ফ্লোরে যেতে নথিতে নাম, পেশা, ঠিকানা উল্লেখ করে যেতে হয়। পাশাপাশি কার সঙ্গে দেখা করবেন, তারও নাম-পরিচয় লিপিবদ্ধ করতে হয়। আজ একজন নারী ও পাঁচ জন পুরুষ এসে বাংলা ট্রিবিউন সম্পাদকের সঙ্গে দেখা করার কথা বলেন। সম্পাদক অফিসে নেই জানালে তারা কোনও এন্ট্রি ছাড়াই বাংলা ট্রিবিউন কার্যালয়ে ঢুকে পড়েন।’

এ বিষয়ে শেরে বাংলানগর থানার এসআই (ডিউটি অফিসার) আব্দুর রশীদ বলেন, ‘এই বিষয়ে বাংলা ট্রিবিউনের মানবসম্পদ বিভাগের সহকারী ম্যানেজার একটি জিডি করেছেন।’ জিডির বিষয়ে শিগগিরই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বাংলা ট্রিবিউন-ঢাকা টিবিউনে ‘প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি র‌্যাংকিং-২০১৯’ প্রকাশিত হয়। সেই র‌্যাংকিংয়ে সেরা ২০-এর তালিকায় সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ মকবুল হোসেনের মালিকানাধীন সিটি ইউনিভার্সিটি না থাকায় তিনি ক্ষুব্ধ হন।
এই ব্যাপারে লিখিত কোনো বক্তব্য বা ব্যাখ্যা না দিয়ে ফোনে সম্পাদকসহ একাধিক সাংবাদিক ও কর্মকর্তার সঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করে রূঢ় আচরণ করেন তিনি।