শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা মামলা: দণ্ডপ্রাপ্ত ৪৩ আসামির আপিল



সুপ্রিম কোর্ট১৯৯৪ সালে পাবনার ঈশ্বরদীতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার ট্রেনে গুলির অভিযোগে দায়ের করা হত্যা চেষ্টা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৮ আসামিসহ মোট ৪৩ জন খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল দায়ের করেছেন। রবিবার (২১ জুলাই) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ওই আসামিদের পক্ষে আপিল দায়ের করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

আসামিপক্ষের আইনজীবী বলেন, আপিলকারী আসামিদের ৪৩ জনের মধ্যে ৮ জন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত, ২২ জন যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত এবং ১৩ জন ১০ বছর করে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত রয়েছেন।

এর আগে, গত ৩ জুলাই এই মামলায় পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রোস্তম আলী ৯ আসামির ফাঁসি, ২৫ জনের যাবজ্জীবন এবং ১৩ জনকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। পাশাপাশি যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের ৩ লাখ টাকা এবং ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্তদের ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসাসিরা হলেন, একেএম আক্তারুজ্জামান, মো. জাকারিয়া পিন্টু, মোখলেছুর রহমান বাবলু, রেজাউল করিম শাহীন, শহীদুল ইসলাম অটল, আজিজুর রহমান ফড়িং, শ্যামল, মাহাবুবুর রহমান পলাশ ও শামসুল আলম। এর মধ্যে ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু পলাতক রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর খুলনা থেকে ট্রেনে ঈশ্বরদী হয়ে সৈয়দপুরের দলীয় কর্মসূচিতে যাচ্ছিলেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী) শেখ হাসিনা। তাকে বহনকারী ট্রেনটি ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে প্রবেশের মুহূর্তে শেখ হাসিনার কামরা লক্ষ করে গুলি চালায় দুর্বৃত্তরা। স্টেশনে যাত্রাবিরতি করলে আবারও ট্রেনটিতে হামলা চালানো হয়।

এ ঘটনায় পরবর্তী সময়ে দলীয় কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করে শেখ হাসিনা দ্রুত ঈশ্বরদী ত্যাগ করেন। পরে ঈশ্বরদী রেলওয়ে জিআরপি থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাদী হয়ে তৎকালীন ছাত্রদল নেতা ও বর্তমানে ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টুসহ সাত জনকে আসামি করে মামলা করেন।

এরপর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার পর পুলিশ মামলাটি পুনঃতদন্ত করে। তদন্ত শেষে নতুনভাবে স্থানীয় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীসহ ৫২ জনকে এ মামলার আসামি করা হয়।