তথ্য প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ বড় চ্যালেঞ্জ: ইকবাল মাহমুদ

দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের সঙ্গে বৈঠকে ইউএনওডিসির তিন সদস্যের এক প্রতিনিধি দলের সদস্যরা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অবৈধ লেনদেন হচ্ছে কিনা, তা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘এজন্য সংশ্লিষ্ট কোম্পানির ডাটাবেজে প্রবেশের অনুমতিও মিলেছে। তথ্যপ্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।’ বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে ইউনাইটেড ন্যাশনস অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইমের (ইউএনওডিসি) তিন সদস্যের এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ইউএনওডিসি’র দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিনিধি ড. সুরুচি পান্ট।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও দুদক সমন্বিতভাবে প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে ট্রেড বেইজড অর্থপাচারসহ সব ধরনের অবৈধ লেন-দেন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। অর্থপাচার বন্ধ করতে হলে এসব প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত উদ্যোগের বিকল্প নেই। যারা জালিয়াতি করে ব্যাংকঋণ নেন, তারাই ওভার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে অর্থপাচার করছেন।’

দুদকের কার্যক্রমে সরকার বা কোনও রাজনৈতিক দল প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে না, মন্তব্য করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমাদের বড় সমস্যা হচ্ছে, এখনও দুদক কাঙ্ক্ষিত মাত্রার জনআস্থা অর্জন করতে পারেনি।’ তিনি বলেন, ‘বিশেষজ্ঞদের মতে আগামীতে বাংলাদেশসহ  ১১টি দেশ বিশ্ব অর্থনীতির নেতৃত্ব  দেবে।  বিশ্ব অর্থনীতির নেতৃত্ব দিতে হলে দেশের সম্ভাবনাময় তরুণ প্রজন্মকে মানবসম্পদে পরিণত করার কোনও বিকল্প নেই।’

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘উত্তম চর্চার বিকাশ, তথ্য বিনিময়, দুর্নীতি দমনে কৌশল নির্ধারণসহ বিভিন্ন ইস্যুতে পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য ভুটান, রাশিয়া ও ভারতের দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে দুদক।’ অন্যান্য দেশের এ জাতীয় সংস্থার সঙ্গেও দুদক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করতে চায় বলেও তিনি উল্লেখ করেন।