লে. ক. সারোয়ার বলেন, ‘গত ১৮ সেপ্টম্বর আমরা ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করি। আজ ১৯তম দিন চলছে। এর মধ্যে কয়েকজনের উঠে আসছিল। সম্রাটের নাম অনেক বারই এসেছে। তাকে ধরার জন্য আমাদের বেশ কয়েকটি টিম নজরদারি করেছিল। এই নজরদারির ধারাবাহিকতায় আজ ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার প্রধান সহযোগী আরমানকে গ্রেফতার করি।’
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এখানে উল্লেখ করতে চাই, আরমানকে আটক করার পরপরই তাকে মদ্যপ অবস্থায় পাওয়া যায়। তার কাছে বিদেশি মদ পাওয়া যায়। ম্যাজিস্ট্রেট তাকে তাৎক্ষণিক ছয়মাসের কারাদণ্ড দেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এরপর দু’জনকেই ঢাকায় নিয়ে আসি। সম্রাটের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ তার কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালাই। আমরা এখান থেকে একটি বিদেশি অস্ত্র, পাঁচ রাউন্ড গুলিসহ একটি ম্যাগাজিন, ১১৬০ পিস ইয়াবা, ১৯ বোতল বিদেশি মদ, দু’টি বন্যপ্রাণীর চামড়া, দুটি বৈদ্যুতিক শক দেওয়ার মেশিন, দুটি লাঠি জব্দ করি।’
লে. ক. সারোয়ার বলেন, ‘এর সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কিনা, সম্রাটকে রিমান্ডে নিলেই বিস্তারিত জানতে পারবো।’
সম্রাটের গডফাদার কারা—এমন প্রশ্নের জবাবে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা সকালেই তাকে গ্রেফতার করেছি, রিমান্ডে আনার পর জানতে পারবো তার গডফাদার কারা।’
গ্রেফতারের পর সম্রাট ও আরমানকে কোথায় রাখা হয়েছে—এমন প্রশ্নের জবাবে লে. ক. সারোয়ার বলেন, ‘দু’জনকেই ঢাকায় নিয়ে এসেছি। আরমানকে ইতোমধ্যে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সম্রাট এখানেই আছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, ‘অস্ত্র, মাদক ও বন্যপ্রাণী আইনে মামলা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তার কাছ থেকে তিন ধরনের অপরাধের আলামত পেয়েছি। বিদেশি মদ, ইয়াবা, পিস্তল পেয়েছি। মাদক থাকার কারণে মাদক আইনে মামলা হবে। অবৈধ অস্ত্র রাখার কারণে অস্ত্র আইনে মামলা হবে।’ বন্যপ্রাণীর চামড়া রাখার কারণে ইতোমধ্যে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।