রিমান্ডে খালেদকে টর্চার করা হয়েছিল কিনা জানতে চান বিচারক





আদালতে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াযুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে দুই দফায় ১৭ দিনের রিমান্ড শেষে সোমবার (৭ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। রিমান্ডে তিনি কোনও ধরনের টর্চারের (নির্যাতন) শিকার হয়েছিলেন কিনা তা জানতে চান ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কনক বড়ুয়া। এসময় তিনি অসুস্থ বলে বিচারককে জানান।

বিচারক টর্চারের বিষয়ে জানতে চাইলে খালেদ মাহমদু বলেন, ‘স্যার আমি অসুস্থ। তাছাড়া বেশ কয়েকদিন ধরে রিমান্ডে রয়েছি। আমার ডায়াবেটিস ও ব্লাড প্রেশারের সমস্যা রয়েছে।’ এসময় বিচারক তার কী ধরনের ব্লাড প্রেশার তা জানতে চান। তিনি বলেন, ‘আমার হাই ব্লাড প্রেশার এবং ওষুধ খেতে হয়।’

সোমবার মানি লন্ডারিং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ১০ দিনের জন্য রিমান্ডের আবেদনসহ খালেদকে আদালতে হাজির করেন। একইসঙ্গে মতিঝিল থানার মাদক মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা তার সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।

শুনানি শুরু হলে খালেদের আইনজীবীরা বলেন, দীর্ঘ ১৭ দিনের রিমান্ডে ছিলেন আসামি। তাই তার রিমান্ড বাতিল করা হোক। নতুন করে রিমান্ডে নেওয়ার কোনও যৌক্তিকতা নেই। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান ও হেমায়েত উদ্দিন খান রিমান্ডের জোর দাবি জানান। শুনানি শেষে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে মানি লন্ডারিং ও মাদক আইনের মামলায় তৃতীয় দফায় সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গুলশানের বাসা থেকে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এসময় তার বাসা থেকে একটি অবৈধ অস্ত্র, লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করা আরও দুটি অস্ত্র, কয়েক রাউন্ড গুলি ও দুই প্যাকেটে চারশ’ পিস ইয়াবা জব্দ করে র‌্যাব। এছাড়া, তার বাসার ওয়াল শোকেস থেকে ১০০০, ৫০০ ও ৫০ টাকার নোটের মোট ১০ লাখ ৩৪ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। একইসঙ্গে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা সমমূল্যের ইউএস ডলারও জব্দ করা হয়।

আরও পড়ুন...
 খালেদ মাহমুদ তৃতীয় দফায় সাত দিনের রিমান্ডে