মানবতাবিরোধী অপরাধ: গাইবান্ধার রঞ্জু মিয়াসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে রায় মঙ্গলবার

 

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গাইবান্ধার রঞ্জু মিয়াসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার জন্য মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দিন নির্ধারণ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

এ মামলায় আসামিদের মধ্যে মো. রঞ্জু মিয়া গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। মামলার পলাতক আসামিরা হলেন—আবদুল জব্বার (৮৬), মো. জাফিজার রহমান খোকা (৬৪), মো. আবদুল ওয়াহেদ মণ্ডল (৬২), মো. মমতাজ আলী বেপারি মমতাজ (৬৮) ও মো. আজগর হোসেন খান (৬৬)।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল। অন্যদিকে, আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আবুল হাসান।

এর আগে এ মামলায় উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ২১ জুলাই মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছিলেন ট্রাইব্যুনাল।

মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা-গণহত্যা, ধর্ষণ, আটক, অপহরণ, নির্যাতন, বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ, ভয়-ভীতি ও আতঙ্ক ছড়িয়ে হিন্দু সম্প্রদায়কে ধর্মান্তর এবং দেশান্তরে বাধ্য করাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

আসামিরা গাইবান্ধা সদরের নান্দিদা ও ফুলবাড়ি গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা এবং সবাই জামায়াতের সক্রিয় কর্মী। আসামিদের মধ্যে মো. আবদুল জব্বার, মো. জাফিজার রহমান খোকা ও মো. আবদুল ওয়াহেদ মণ্ডল ১৯৭১ সালের আগে থেকেই জামায়াতের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। জব্বার ও খোকা মানবতাবিরোধী অপরাধে ১৯৭২ সালে গ্রেফতার হলেও তাদের কোনও বিচার হয়নি।

খোকার বর্তমান ঠিকানা রাজধানীর কাফরুল থানার উত্তর ইব্রাহিমপুরে। তিনি ১৯৭৫ সালে পুলিশের চাকরিতে যোগ দিয়ে ২০১৪ সালে অবসর নেন। মো. মমতাজ আলী বেপারি মমতাজ ১৯৭৪ সালে কৃষি বিভাগে চাকরিতে যোগ দিয়ে ২০১২ সালে অবসর নেন বলে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার অভিযোগে বলা হয়েছে।