আইনজীবীরা জানান, হাইকোর্টের জামিনের রুল শুনানি শেষে তা খারিজ হয়। ফলে তার এখন নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।
আদালতে দুদকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন একেএম ফজলুল হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী রেদোয়ান আহমদ।
মামলার বিবরণে বলা হয়, সৈয়দ মুজাফফর হোসেন আই জি নেভিগেশনের পরিচালক হিসেবে বেসিক ব্যাংকের চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ শাখা থেকে জাহাজ আমদানির জন্য আনুমানিক ১২ কোটি টাকার একটি পুরাতন জাহাজের মূল্য ৭৪ কোটি ৯৬ লাখ ৯৫ হাজার ৩২০ টাকা দেখিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ঋণ নেন। ওই ঋণ সুদসহ ১৪১ কোটি ৫ লাখ ৪৬ হাজার ১০৫ টাকা হয়। ঋণ পরিশোধ না করায় তার বিরুদ্ধে দুদক ২০১৮ সালের ১০ জানুয়ারি ডাবল মুরিং থানার মামলা দায়ের করে।
পরে আসামি ২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল হাইকোর্ট থেকে ৬ মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পান। পরে ওই জামিন আদেশের বিরুদ্ধে দুদক আপিল বিভাগে আবেদন করলে চেম্বার জজ তার জামিন বহাল রেখে এক মাসের মধ্যে ২৫ কোটি টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে টাকা জমা না দিলে তার জামিন বাতিল হওয়ার আদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু আসামিপক্ষ চেম্বার জজ আদালতের উপর্যুক্ত শর্ত পালন না করায় আপিল বিভাগ তার জামিন ২০১৮ সালের ১৫ জুলাই বাতিল করেছিলেন।
এর মধ্যে হাইকোর্টের জারি করা রুলের ওপর শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার তা আদালত খারিজ করে দেন।