সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে হাইকোর্টে তলব

সাগর-রুনিদীর্ঘ ৭ বছরেও মামলার তদন্ত শেষ না হওয়ায় বহুল আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তদন্ত কর্মকর্তাকে আগামী ৬ নভেম্বর সংশ্লিষ্ট মামলার সব নথিপত্র নিয়ে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলাটি বাতিল চেয়ে সন্দেহভাজন আসামি মো. তানভীর রহমানের করা আবেদনের শুনানিকালে রবিবার (২০ অক্টোবর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

আদালতে আসামি তানভীরের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারোয়ার হোসেন বাপ্পী।

এর আগে ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি। পরের দিন ভোরে তাদের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।

ওই ঘটনায় রুনির ভাই বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা করেন। প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন শেরেবাংলা নগর থানার এক উপপরিদর্শক (এসআই)। পরে চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে ডিবি রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু, গত সাত বছরেও মামলার তদন্তে অগ্রগতির কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।

এ মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি আট জন। অন্য আসামিরা হলো- বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদ। আসামিদের প্রত্যেককে একাধিকবার রিমান্ডে নেওয়া হলেও তাদের কেউ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়নি।

এদিকে ১ অক্টোবর এ হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ৬৮ বারের মতো পেছানো হয়। পুনরায় প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য আগামী ১৪ নভেম্বর নতুন দিন ধার্য করা হয়। ঢাকা মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস নতুন এ দিন ধার্য করেন।

তবে দীর্ঘ ৭ বছরেও তদন্ত শেষ না হওয়ায় মামলাটি বাতিল চেয়ে আসামি তানভীর হাইকোর্টে আবেদন জানায়। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করলেন হাইকোর্ট।