আদালতে আসামিরা

আদালতে আসামিরা

হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলা মামলার আসামিদের আদালতে আনা হয়েছে। বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকাল সোয়া ১০টার দিকে বিশেষ নিরাপত্তার মাধ্যমে কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তাদের আদালতে আনা হয়। এখন তাদের ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়েছে। হাজতখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক মইনুল ইসলাম একথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘সকালে তাদের কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। এরপর তাদের আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়েছে। আদালত বসলে আসামিদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে।’

আদালত চত্বর

গত বছরের ২৩ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের পরিদর্শক হুমায়ূন কবির সিএমএম আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২৬ জুলাই সিএমএম আদালত মামলাটি ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন। আর ২৬ নভেম্বর অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অভিযোগপত্রে থাকা ২১ আসামির ১৩ জন মারা যাওয়ায় তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।

আদালতে আসামিরা

অভিযোগপত্রে ৮ আসামি হলো—হামলার মূল সমন্বয়ক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে রাশ, অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী, হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজ, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে হলি আর্টিজানে হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। এসময় তাদের গুলিতে দুই পুলিশ সদস্য নিহত হন। পরে অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়। ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় মামলা করে পুলিশ।

ছবি: সাজ্জাদ হোসেন

আরও পড়ুন:

 

হলি আর্টিজান মামলার রায় আজ

গুলশান হামলা: অভিযুক্ত আট জঙ্গির কার কী ভূমিকা

৩ কারণে হলি আর্টিজান হামলার চার্জশিটে দেরি

দুর্বিষহ স্মৃতি নিয়ে বেঁচে আছেন তারা

হামলার পরিকল্পনা রাজশাহীতে, কৌশল নির্ধারণ গাইবান্ধায়, চূড়ান্ত অপারেশন প্ল্যান ঢাকায়