বাসায় কাতরাচ্ছে দগ্ধ দুর্জয়

 

দুর্জয় সাহাবাসায় যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন কেরানীগঞ্জের প্লাস্টিক কারখানায় দগ্ধ শ্রমিক দুর্জয় সাহা (১৮)। তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। এক রাত হাসপাতালে থাকার পর পরিবারের লোকজন আশঙ্কাজনক জেনেও তাকে বাসায় নিয়ে যান।

তার বাবা মিন্টু দাস বলেন, ‘চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তার শরীরের ৯০ শতাংশেরও বেশি দগ্ধ হয়েছে। এ অবস্থায় তো আমার ছেলে বাঁচবে না। তাই নিজ ইচ্ছায় বাসায় নিয়ে এসেছি।’

পেশায় গাড়িচালক মিন্টু দাস জানান, তার ছেলে ওই কারখানার মালামাল লোড-আনলোডের কাজ করতো। কারখানার পাশেই তাদের বাসা। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সে ছিল ছোট।

ঢামেকের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের ইউনিট প্রধান সহযোগী অধ্যাপক তাহমিনা আক্তার বলেন, ‘দুর্জয়ের শরীরের ৯০ শতাংশের বেশি দগ্ধ হয়েছে। অবস্থাও আশঙ্কাজনক। আমরা বোর্ড গঠন করে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু, তার স্বজনেরা পর দিন জোরপূর্বক নিয়ে গেছেন। তারা যদি কোনও অভিযোগ করে থাকেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমরা তাদের অনেক অনুরোধ করেছি, আমাদের হাসপাতালের পরিচালক মহোদয়ও চেষ্টা করেছেন, তাদেরকে অনেক বুঝিয়েছেন রাখার জন্য। কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি, কোনোভাবেই তারা এখানে রাখতে চায়নি, নিজ ইচ্ছায় চলে গেছেন।’

কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়ায় বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকালে ‘প্রাইম পেট অ্যান্ড প্লাস্টিক কারখানায়’আগুন লাগে। এতে এখন পর্যন্ত ১৭ জন মারা গেছেন।