তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘নিহত মিজান লেখাপড়ার পাশাপাশি বনানীর একটি ফোর স্টার হোটেলে সিনিয়র ওয়েটার হিসেবে চাকরি করতেন। ৫ জানুয়ারি দুপুর ২টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত হোটেলে ডিউটি করে শেওড়ার বাসার দিকে রওনা হন। তিনি সিএনজিতে ওঠার পর দুই ছিনতাইকারী সিএনজিতে উঠে পড়ে। তার সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ ও ব্যাংকের এটিএম কার্ড অস্ত্র ঠেকিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। সিএনজি হাতিরঝিল এলাকায় ঢুকে ফ্লাইওভারে ওঠে। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ছিনতাইকারীরা তাকে গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে তাকে ফ্লাইওভারে ফেলে চলে যায়।’
ছিনতাইকারীরা তার মোবাইল ফোন, এটিএম কার্ড নিয়ে যায়। এরপর পথচারীদের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ রাত ১টার দিকে কারওয়ান বাজার রেলক্রসিং বরাবর জায়গা থেকে মিজানের লাশ উদ্ধার করে। ভোররাতে মিজানের ভাইয়েরা খবর পেয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন। ৬ জানুয়ারি সকালে মিজানের ভাই আরিফ হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
হাতিরঝিল থানা পুলিশ ইতোমধ্যে তিন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে। তারা মিজানকে হত্যার পর তার মোবাইল ফোন ও টাকা নিয়ে পালিয়েছিল। এই চক্রটি পেশাদার ছিনতাইকারী বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমরা নিহত মিজানের মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করেছি। আসামিদের বুধবার আদালতে নেওয়া হবে। তবে আসামিদের নাম প্রকাশ করেননি তিনি। ছিনতাইকারীরা ফ্লাইওভারকে লাশ ফেলার নিরাপদ জায়গা মনে করে সেখানে ফেলে পালিয়ে যায়।’ এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মামলার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে অগ্রগতি জানানো হবে।’