ঢাকা নর্দান সিটি কলেজে হামলায় জড়িতদের বিচার দাবি

 

ঢাকা নর্দান সিটি কলেজে হামলায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

রাজধানীর উত্তরায় ঢাকা নর্দান সিটি কলেজে হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর এবং ভবনের মালামাল লুটপাটের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকরা। রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঢাকা নর্দান সিটি কলেজের প্রভাষক ইসফাত জাহান। তিনি বলেন, এ কলেজটিকে বাঁচাতে তারা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। আকস্মিক সন্ত্রাসী তাণ্ডবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে অচলাবস্থা তৈরি হওয়ায় এখন দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে বলে জানান তিনি। ইসফাত জাহানের দাবি, হামলার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ জিডি নিলেও  মামলা নেয়নি। তাই আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত ১০ জানুয়ারি (শুক্রবার) বন্ধের দিন কলেজ ভবনে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। তারা কলেজের বেঞ্চ,  চেয়ার,  টেবিল, ডায়াস,  কম্পিউটার,  ফ্যান, লাইট, আলমারি ভাঙচুর করে। এসময় তারা ২ লাখ নগদ টাকাও লুট করে। বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর করা হয়। এছাড়া  শিক্ষার্থীদের মূল  নম্বরপত্র,  রেজিস্ট্রেশন  কার্ড,  এডমিট  কার্ড,  ভর্তি  রেজিস্ট্রার,  ছাত্র-শিক্ষকদের  হাজিরা খাতা,  ক্যাশ  বুক  ও  বেতন  রশিদসহ  দাপ্তরিক সব নথি লুট করে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পরদিন ১১ জানুয়ারি কলেজ ক্যাম্পাসে মুজিববর্ষের আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে জড়ো হন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তারা এ ধ্বংসযজ্ঞ দেখে হতবিহ্বল হয়ে পড়েন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগ করা হয়, অধ্যক্ষ ফেরদৌসী নাজনীন, ভবন মালিক ও ডেভেলাপার কোম্পানির ষড়যন্ত্রের শিকার কলেজটি। এর আগে কলেজ পরিচালনায়  অদক্ষতা, অব্যবস্থাপনা, নানা আর্থিক দুর্নীতি ও অনিয়ম প্রকাশিত হওয়ার ভয়ে কলেজটির অধ্যক্ষ ফেরদৌসী নাজনীন বারবার কলেজ এবং ছাত্র ভর্তি বন্ধকরণে শিক্ষাবোর্ড বরাবর আবেদন  করেন।  এতে ব্যর্থ হয়ে তিনি এই অনৈতিক পথ বেছে নেন। কলেজটিতে শিক্ষার্থীরা যাতে নিরাপদে শিক্ষাজীবন চালিয়ে যেতে পারে সে জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন শিক্ষকরা।