সোমবার বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বিএফডিসির সড়ক অবরোধ করে রাখে সহকর্মীরা। পরবর্তীতে পুলিশের আশ্বাসে তারা সড়ক ছেড়ে দেয়।
এর আগে রবিবার রাতে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল হাজতখানায় মারা যান আবু বক্কর। পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এটি আত্মহত্যা।
আবু বক্করের মৃত্যুর দাবিতে সোমবার সকাল থেকে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন বিএফডিসির সব শ্রেণির কর্মচারীরা। ফ্লোর সেটিং ইনচার্জ সাইদুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘থানায় মানুষ নিরাপদে থাকে। সেখানে কীভাবে আবু বক্কর মারা গেলো? সুস্থ মানুষকে মোটরসাইকেল থেকে গ্রেফতার করলো। থানা থেকে তাকে লাশ হয়ে বের হতে হলো। থানা হেফাজতে এই মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না।’
বিএফডিসির তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের ট্রেড ইউনিয়নের নেত্রী ফিরোজা বেগম বলেন, ‘আবু বক্করকে গ্রেফতার করা হলো শনিবার, তখনও তার বিরুদ্ধে মামলা হয়নি। মামলা হয়েছে রবিবার। মামলা হওয়ার আগেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, নির্যাতন করা হয়েছে। জানালার গ্রিলের সঙ্গে কেউ চাদর দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। তার শরীরে দাগ, গলায় চিকন দাগ, চাদর দিয়ে আত্মহত্যা করলে তার গলায় মোটা দাগ থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আবু বক্কর সরকারি কর্মকর্তা। ঢাকার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে শেওড়াপাড়ার একটি কেন্দ্রের সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন, এমন চিঠিও আসছে। তার সঙ্গে পুলিশ এমন আচরণ করলো কীভাবে? আমরা এর বিচার চাই।’
আরও পড়ুন: