দুদককে সতর্ক করলেন হাইকোর্ট

হাইকোর্ট

আসামি ধরতে ‘পিক অ্যান্ড চুজ’ করা যাবে না বলে দুদককে সতর্ক করেছেন হাইকোর্ট। দুদকের এক রিভিশন আবেদনের শুনানিকালে বিষয়টি নজরে এলে বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই মন্তব্য করেন।

এদিকে তদন্ত রিপোর্ট দাখিলের সময় এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে অব্যাহতি দেওয়ায় সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক  মো. ফজলুল হককে তলব করেছেন হাইকোর্ট। তাকে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. ওমর ফারুক। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ওষুধসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগে ২০১১ সালের ১৬ নভেম্বর দুদকের সহকারী পরিচালক সৈয়দ তাহসানুল হক রাজধানীর শাহবাগ থানায় ১০টি মামলা দায়ের করেন। এসব মামলায় মোট ৬ কোটি ৬৭ লক্ষ ২৬ হাজার ৩২৭ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সাবেক পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল বজলে কাদেরসহ ৮ জনকে আসামি করে ওইসব মামলা দায়ের করা হয়।

মামলায় অন্য আসামিরা ছিলেন হাসপাতালের সাবেক উপ-পরিচালক ডা. মো. ফজলুল্লাহ, সিনিয়র লেকচারার ডা. মশিউর রহমান, উপ-পরিচালক ডা. কাজী এনামুল কবির, এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ডা. আতিয়ার রহমান, সমাজ সেবা অফিসার সাঈদা আখতার, গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ডা. সতীনাথ বসাক এবং মেসার্স জাকিয়া এন্টারপ্রাইজের মালিক জাকিয়া সুলতানা। মামলাটি বর্তমানে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৫-এ বিচারাধীন।

পরে দুদকের দায়ের করা এক মামলার আসামি ডা. মশিউর রহমানকে অব্যাহতি আদেশ দেন বিচারিক আদালত। সে অব্যাহতি আদেশের বিরুদ্ধে দুদক হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন দায়ের করে। ওই রিভিশন আবেদনের শুনানিতে হাইকোর্ট দেখতে পান, এজাহারভুক্ত আসামি হওয়ার পরও গণপূর্তের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সতীনাথ বসাক ও ঢাকা মেডিক্যালে কর্মরত সমাজসেবা কর্মকর্তা সাঈদা আক্তারকে অব্যাহতি দিয়ে দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা চার্জশিট দাখিল করেছিলেন এবং হিসাবরক্ষক নজরুল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম নামের আরেকজনকে আসামি করেন।

তাই এজাহারভুক্ত আসামিদের অব্যাহতি দিয়ে চার্জশিটে দাখিলের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক  মো. ফজলুল হককে তলব করেন হাইকোর্ট।