যাত্রাবাড়ীতে সাবেকুন্নাহার হত্যা: ৮ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড

আদালতরাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় সাবেকুন্নাহার নামে এক নারীকে হত্যার দায়ে আট জনের ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক শহিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহবুব আলম ভূঁইয়া মিলন এসব তথ্য জানান।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—সাজেদুল ইসলাম সজল, মো. সোহাগ শরীফ, সাকিব হাসান সিজার, মেরাজুল শেখ ওরফে মিরাজ ওরফে মিজান, আনোয়ার হোসেন ওরফে হৃদয়, শাহ ইমাম হোসেন রনি, মাসুদ শাহ ও সাগর হাওলাদার।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জানান, রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে কেবল সাজেদুল ইসলাম সজল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর সাত আসামি পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২১ মে আসামি সজল ও মাসুদ উত্তর যাত্রাবাড়ীর তহুরা বেগমের ফ্ল্যাটের নিচতলার বাসা ভাড়া নেয়। তারা নিজেদের বাসায় বিদ্যুতের সমস্যার কথা বলে তহুরা বেগমের বাসায় কলিং বেল বাজায়। পরে তহুরার মেয়ে সাবেকুন্নাহার দরজা খুলে দেন। দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে তারা দুজন বাসায় প্রবেশ করে। তাদের সঙ্গে আরও ছয় জন ঢোকে। আসামিরা তহুরা বেগমের হাত ও পা দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে এবং মাথাসহ মুখ টেপ দিয়ে পেঁচিয়ে ফেলে। সাবেকুন্নাহার চিৎকার করলে আসামিদের একজন চাপাতির উল্টো পাশ দিয়ে মাথায় আঘাত করে। পরে আসামিরা গলায় ফাঁস দিয়ে সাবেকুন্নাহারকে হত্যা করে।

ওই ঘটনায় তহুরা বেগম যাত্রাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ২৯ ডিসেম্বর ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০১৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।