শুক্রবার (৩ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে মুগদা জেনারেল হাসপাতালের প্রধান ফটকের ভেতরে দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের ফটো সাংবাদিক জয়ীতা রায় ও দৈনিক দেশ রূপান্তরের ফটো সাংবাদিক হারুন অর রশীদ ওরফে রশীদ রুবেলের ওপর এই হামলার ঘটনা ঘটে। মুগদা থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) আলতাফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হামলার শিকার জয়ীতা রায় বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি ১০টা ৩৬ মিনিটের দিকে মুগদা হাসপাতালের সামনে যাই। আমার স্কুটি পার্কিং করে ক্যামেরা নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে হাসপাতালের প্রধান ফটকের সামনে যাই। গিয়ে দেখি রোগী ও রোগীর স্বজনদের লম্বা লাইন। এদের ভেতরে ক্যান্সার আক্রান্ত এক মায়ের কোভিড-১৯ পরীক্ষার নমুনা দেওয়ার জন্য টিকিট নিতে লাইনে দাঁড়িয়েছিল এক যুবক। কিন্তু একজন আনসার সদস্য ভেতর থেকে বের হয়ে ঘোষণা দেন, আজকে আর নমুনা নেওয়া হবে না। কিন্তু ৪০ জনকে টিকিট দেওয়া হলেও ৩৪ জনের নমুনা নেওয়া হয়। এর প্রতিবাদ করেন ওই যুবক। এরপর আনসার সদস্যরা তাকে মারধর করে। টেনে হাসপাতালের ভেতরে নিয়ে যায়। এই ছবি তুলতে দেখে আনসার সদস্যরা আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। আমি প্রতিবাদ করলে তারা আমাকে মারতে এগিয়ে আসে। আমি কিছুটা পিছিয়ে আসায় থাপ্পড় গায়ে লাগেনি। এই ঘটনা দূর থেকে দেখেন দেশ রূপান্তরের সহকর্মী রুবেল রশীদ ও ডেইলি স্টারের আনিসুর রহমান। সেখানে রোগীর স্বজনরাও আনসারদের খারাপ ব্যবহারের প্রতিবাদ করেন। তা শুনে আমাদের অন্যান্য সহকর্মীরা এগিয়ে আসেন। এরপর আনসার সদস্যরা সবাইকে বের করে দেয়। আমারাও গেটের বাইরে চলে আসি। কিন্তু রোগীর স্বজনদের সঙ্গে তারা খারাপ ব্যবহার করেই যাচ্ছিল।’
অভিযুক্ত আনসার সদস্যের নাম রফিকুল ইসলাম। তিনি মুগদা হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করেন। এ বিষয়ে তার বক্তব্য জানার চেষ্টা করে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কোনও কিছু না বলেই ফোন কেটে দেন।
মুগদা থানার এস আই আলতাফ হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শুনছি মুগদা হাসপাতালে সাংবাদিকদের ওপর একটি হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে এ সংশ্লিষ্ট কোনও অভিযোগ থানায় আসেনি। সবাই চলে গেছে।’
প্রসঙ্গত, এর আগে গত বছরে জানুয়ারিতে মুগদা হাসপাতালে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।