সবুজবাগে সায়েমা হত্যার নেপথ্যে প্রথম স্বামী

অভিযুক্ত শাহ আলমরাজধানীর সবুজবাগে সায়েমা আক্তার (২০) নামে এক নারীকে সড়কে কুপিয়ে হত্যার সঙ্গে তার প্রথম স্বামী জড়িত বলে প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মো. শাহ আলম (৩২)। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।

মঙ্গলবার (৭ জুলাই) রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের সবুজবাগ জোনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (এসি) রাশেদ হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সায়েমাকে তার প্রথম স্বামী শাহ আলম পরিকল্পনা করেই হত্যা করছে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পেয়েছে। সে প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকারও করেছে।

পুলিশ জানায়, শাহ আলমের সঙ্গে ২০১২ সালে সায়েমার বিয়ে হয়। শাহ আলমের গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা জেলায়। কিন্তু বনিবনা না হওয়ায় প্রায় বছর খানেক আগে তাদের বিচ্ছেদ হয়। তাদের বিচ্ছেদের পর সাত মাস আগে সায়েমার সঙ্গে সাগর মিয়া নামে এক যুবকের বিয়ে হয়। বিয়ের পর সায়মা তার স্বামীর সঙ্গে সবুজবাগের আহাম্মদবাগ এলাকার বিটু মিয়ার বস্তিতে ভাড়া থাকতেন। সায়মা বিয়ে করায় প্রথম স্বামী ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। গত ১৯ জুন রাত ১০টার দিকে সবুজবাগের আহাম্মদবাগ এলাকার একটি গলিতে শাহআলমসহ ২-৩ জন সায়েমাকে ছুরিকাঘাত করে এবং কুপিয়ে পালিয়ে যায়। সায়েমার চিৎকারে তার স্বামী সাগর দৌড়ে আসেন। গুরুতর অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়া যান স্বামী। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৭ জুন মধ্যরাতে সায়েমার মৃত্যু হয়।

এই ঘটনায় সায়েমার ভাই সবুজবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর ৬ জুলাই সবুজবাগ থানা পুলিশ কেরানীগঞ্জ থেকে শাহ আলমকে গ্রেফতার করে।