শিশু নির্যাতন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে আইনি নোটিশ

যৌন হয়রানি
করোনাকালে শিশু নির্যাতন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সচিব এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সচিবকে এই নোটিশ পাঠানো হয়। বুধবার (১৫ জুলাই) মানবাধিকার সংস্থা পপুলেশন ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (পিডিও) নির্বাহী পরিচালক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান লিংকন জনস্বার্থে এই নোটিশ পাঠান।

নোটিশে বলা হয়, করোনা মহামারীর কারণে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ ক্ষেত্রে অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেক অপরাধী করোনা দুর্যোগের সুযোগ নিয়ে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। যার ফলে এই বিশেষ পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
‘দেশে শিশুদের অধিকার রক্ষায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করার পরও শিশুরা বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়। স্বাভাবিক সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় তা অনেকটা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। কিন্তু বর্তমান করোনাকালে আমরা বিভিন্ন পত্রিকা এবং ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার রিপোর্টে লক্ষ্য করছি, বর্তমানে শিশু নির্যাতনের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্রকে একটি বিশেষ অবস্থা মোকাবিলা করতে হচ্ছে এবং এই সুযোগে শিশু নির্যাতনের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

নোটিশে আরও বলা হয়, গত ৭ মে ‘লকডাউনে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে শিশু নির্যাতন’ শিরোনামে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেখানে একটি বেসরকারি সংস্থার প্রতিবেদনে প্রকাশ পায়। প্রতিবেদেন বলা হয় ২০০৯ সালে দেশে ৪৬ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়, আর চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ২৭ জেলায় ৩৫ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার এবং শান্তির আওতায় আনতে না পারলে সমস্যাটি আরও মারাত্মক হবে।
বেসরকারি সংস্থা ‘মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন’ তাদের একটি জরিপের ফলাফল গত ১৩ জুলাই প্রকাশ করেছে, যেখানে চলতি বছরের জুন মাসে শিশু নির্যাতনের হার এপ্রিল ও মে মাসের তুলনায় বেড়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এমনকি আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে বাল্যবিবাহের সংখ্যা। তাই জরুরি ভিত্তিতে নারীর প্রতি সহিংসতা ও বাল্যবিবাহ বন্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা অপরিহার্য।

এই নোটিশ পাওয়ার সাত কার্যদিবসের মধ্যে শিশু নির্যাতন বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে বলা হয়েছে। অন্যথায় এই বিষয়ে প্রতিকার চেয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়।