তিনি বলেন, ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘরের সিলিংয়ে কিশোরীর ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়া যায়। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে সন্ধ্যায় মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।’
পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, কলি আত্মহত্যা করেছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানান এসআই আমানত।
নিহত তাহমিনা আক্তার কলি নোয়াখালী সদরের নোয়ান্নাই ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের আবুল কাশেমের মেয়ে।
এদিকে, নিহতের পরিবারের অভিযোগ, কলি আত্মহত্যা করেনি। তাকে হত্যা করে আত্মহত্য বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
নিহতের দুলাভাই জানান, নোয়াখালী থেকে কলিকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ঢাকায় নিয়ে এসে তিন মাস আটকে রাখে কথিত স্বামী মো. শাকিল (২৩)। এরপর সে কলিকে হত্যা করেছে। শাকিল একই ইউনিয়নের খোকন মোল্লার ছেলে।
তিনি বলেন, ‘হাতিরঝিল থানা পুলিশের মাধ্যমে আমরা খবর পেয়েছি। নোয়াখালী থেকে আমরা ঢাকায় আসছি। হাতিরঝিল থানায় অভিযোগ দায়ের করবো।’