সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানি পেছালো

আদালতসগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলায় চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানো হয়েছে। পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৭ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত। সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর ) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।

সূত্র জানায়, এ দিন মামলাটির অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু  আসামিপক্ষের আইনজীবীরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পায়নি বলে অভিযোগ গঠন শুনানি পেছানোর আবেদন করেন। এরপর বিচারক আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

মামলার আসামিরা হলো—নিহতের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী ও হাসান আলীর স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহীন, শ্যালক আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান এবং ভাড়াটে মারুফ রেজা।

এর আগে ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (পিবিআই) পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

অভিযোগপত্রে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, আসামিরা শিক্ষিত এবং হোয়াইট কালারের অপরাধী হওয়ায় তারা জামিন পেলে বাংলাদেশ ত্যাগ করে চিরপলাতক হওয়ার যথেষ্ট সম্ভবনা রয়েছে। এ জন্য আসামিদের বিচার সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন জানান তিনি।

তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করেন, সগিরা মোর্শেদের পরিবারের সঙ্গে আসামি শাহীনের বিভেদ তৈরি হয়েছিল। এছাড়া শাশুড়ি সগিরাকে অনেক পছন্দ করতেন এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সগিরা-শাহীনের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। সম্বোধন করা নিয়েও পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিল। সগিরার কাজের মেয়েকে মারধর করে আসামি ডা. হাসান আলী চৌধুরী। এ নিয়ে পারিবারিক বৈঠকে শাহীন সগিরাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। আসামিরা নিজেদের বাসায় বসে সগিরাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ডা. হাসান আলী তার চেম্বারে অপর আসামি মারুফ রেজার সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় হত্যার চুক্তি করে। ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই মারুফ রেজা ও আনাস মাহমুদ সগিরাকে গুলি করে হত্যা করে। ওই ঘটনায় সগিরার স্বামী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।