এদিকে নিহতের বোন নাসরিন বেগম ও ভাই আলাউদ্দিন ফরাজি, রোববার দুপুরের পর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে এসে লাশ শনাক্ত করেন। তারা জানান, ইয়াসমিন আক্তার সোমার স্বামীর নাম আবুল কালাম। তাদের সাফায়েত (১০) নামে এক সন্তান রয়েছে। তারা নারিন্দা থাকতো। ৬/৭ মাস আগে আবুল কালামের সঙ্গে বাসার গৃহকর্মীর অনৈতিক সম্পর্ক দেখে ফেলে সোমা। এ নিয়ে তাদের মধ্যে তিক্ততা সৃষ্টি হয়। পরে স্বামী তার সন্তানকে নিয়ে অন্যত্র চলে যায়। এ ঘটনার বেশ কয়েকদিন পর সোমা সাভারে বোন নাসরিনের বাসায় গিয়ে উঠেন। মাঝে মধ্যে ঢাকা আসতো। তারা বলেন, গত শুক্রবার সকালে কাপড় আনার কথা বলে সাভার থেকে ঢাকায় আসেন। সন্ধ্যার পর থেকে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। তাকে আর পাওয়া যায়নি।
উপ-পরিদর্শক আব্দুল জলিল বলেন, আবুল কালাম তার ছেলেকে নিয়ে গত ১৩ অক্টোবর ওই হোটেলের ২৩৪ নম্বর কক্ষে উঠেন। হোটেল কর্তৃপক্ষকে জানান, তার স্ত্রী রাগ করে কোথায় যেন চলে গেছে। তাকে খুঁজতে এসেছেন তারা। পরবর্তীতে স্ত্রীর খোঁজ পেয়েছে বলে রুম চেঞ্জ করে ২২৭ নম্বর রুমে উঠেন। পরে স্ত্রী সোমা এলে কোনও এক সময় স্বামী তার সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যায়। শনিবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায়, হোটেল বয় তাদের রুম পরিষ্কারের জন্য গিয়ে দেখে মেয়েটি নিচে পড়ে আছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা পুলিশকে অবহিত করে।
ঢামেকের মর্গ সূত্র বলছে, মৃতদেহের ভিসেরা সংরক্ষণ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।