ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণ: ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৪ জনের জনের সাক্ষ্য গ্রহণ

মজনুরাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ধর্ষণ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামি মজনুর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণকারী ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনসহ চারজনের আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। অপর সাক্ষীরা হলেন, ডা. তৌহিদা বেগম, পুলিশের উপ-পরিদর্শক গিয়াসউদ্দিন এবং জনৈক সবুজ।
বুধবার ( ২১ অক্টোবর)ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোসাম্মৎ কামরুন্নাহার সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ২ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন। এদিন আদালতে মজনুকে হাজির করা হয়। এ পর্যন্ত ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। আদালতে সংশ্লিষ্ট সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ২৬ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক বেগম মোসাম্মৎ কামরুন্নাহারের আদালত অভিযোগ গঠন করেন।
গত ১৬ মার্চ ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক আবু সিদ্দিক মজনুকে একমাত্র আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার অভিযোগপত্রে ১৬ জনকে সাক্ষী করা হয়।
গত ৯ জানুয়ারি ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার আসামি মজনুকে সাত দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত। রিমান্ড শেষে গত ১৬ জানুয়ারি আদালতে ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করে জবানবন্দি দেয় সে। জবানবন্দি শেষে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বর্তমানে মজনু কারাগারে রয়েছে।
গত ৬ জানুয়ারি সকালে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে ওই ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি বিকাল সাড়ে ৫টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে ওই ছাত্রী বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন। কুর্মিটোলা বাস স্টেশনে নামার পর তাকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি অনুসরণ করতে থাকে। একপর্যায়ে মাঝপথে তাকে ধরে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনাটি সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৮টার মধ্যে ঘটে। রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফেরে ওই ছাত্রীর। পরে তিনি রিকশায় বান্ধবীর বাসায় যান। সেখান থেকে বান্ধবীসহ অন্য সহপাঠীরা তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।