প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে এক বিক্ষোভ সমাবেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণ বন্ধের দাবি জানান হেফাজতের নেতা মামুনুল হক।
আজকের সমাবেশে সংহতি জানিয়ে আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু এ বাংলার সবার। কিছু দিন আগে মৌলবাদীরা সেই বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে ধৃষ্টতা দেখিয়েছে এবং ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য শুধু প্রতিকৃতি নয়, এটি পুরো বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি, এটি ৫৬ হাজার বর্গমাইলের প্রতিচ্ছবি। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে কথা বললে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সোচ্চার হবে। আর তখন মৌলবাদীরা পাকিস্তানে নিক্ষেপ হবে।’
ডাকসুর সাবেক স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী বলেন, ‘আজকে আমরা যে কারণে দাঁড়িয়েছি, তা আমাদের জন্য লজ্জাজনক, হতাশাজনক। কিছুদিন আগে হেফাজতে ইসলাম থেকে দাবি করা হয়, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বুড়িগঙ্গায় নিক্ষেপ করা হবে। ইরানে অবস্থিত ওমর খৈয়ামের ভাস্কর্য নিয়ে আমাদের কোনও প্রতিবাদ নেই, মহাকবি ফেরদৌসীর ভাস্কর্য নিয়ে প্রতিবাদ নেই। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে মৌলবাদীরা যে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছে সেটির প্রতিবাদ জানাই। এর জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের জোর দাবি জানাই।’
এদিকে, একই দাবিতে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল এবং সাধারণ সম্পাদক আল মামুনের নেতৃত্বে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আরেকটি মানববন্ধন ও কুশপুত্তলিকা কর্মসূচি পালন করেন নেতাকর্মীরা।
সমাবেশ সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক বিএম জবল-ই-রহমত। এতে আরও বক্তব্য রাখেন যুবলীগের নির্বাহী সদস্য তারেক আল মামুন, দুর্বার একাত্তরের সভাপতি তানভীর আলম চৌধুরী, ডাকসুর সাবেক সদস্য রবিউল ইসলাম সবুজ ও মাহমুদুল হাসান। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের উপবিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক সবুর খান কলিন্স, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল সংসদের সাবেক ভিপি সাইফুল্লাহ আব্বাছী, সাবেক সাহিত্য সম্পাদক কামাল উদ্দীন রানা প্রমুখ।