জামালপুরে বৃদ্ধের সঙ্গে কিশোরীর বিয়ের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ

হাইকোর্ট



জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্তের ৮৫ বছর বয়সী দাদার সঙ্গে ধর্ষণের শিকার ১১ বছরের কিশোরীর বিয়ে দেওয়ার ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। জামালপুরের ডিসি, এসপি এবং দেওয়ানগঞ্জের ওসিকে আগামী ২৯ নভেম্বরের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

ঘটনা সংশ্লিষ্ট দৈনিক পত্রিকার প্রতিবেদন নজরে আনার পর মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি শাহে নুর উদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে প্রতিবেদন নজরে আনেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

৮৫ বছর বৃদ্ধর সঙ্গে ১১ বছরের কিশোরীর বিয়ের ঘটনা দেশের বিভিন্ন দৈনিকে প্রকাশিত হয়।

প্রকাশিত এসব প্রতিবেদনে বলা হয়, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চর আমখাওয়া ইউপির বয়ড়াপাড়া গ্রামের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীর সঙ্গে একই এলাকার সুরমান আলীর ছেলে শাহিনের শারীরিক সম্পর্ক হয়। এক পর্যায়ে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। পরে মেয়েটির গর্ভপাত ঘটানো হয়। বিষয়টি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় ১৬ নভেম্বর স্থানীয় ইউপি সদস্য ও স্থানীয় মাতব্বররা এ বিষয়ে সালিশ বৈঠক করেন। সালিশে শাহিনকে ১০টি দোররা মেরে তার কর্মকাণ্ডের দায় চাপিয়ে দেওয়া হয় ৮৫ বছরের দাদার ওপর। পরে দাদা মহির উদ্দিনের সঙ্গে মেয়েটির বিয়ে দেন স্থানীয় মাতব্বরেরা।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, চর আমখাওয়া ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন নাদুও বিষয়টি স্বীকার করে জানান, মুরব্বিদের নিয়ে সালিশ করা হয়। সালিশে অনৈতিক কাজ করায় শাহিনকে ১০টি দোররা মারা হয়। পরে স্থানীয়দের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শাহিনের দাদার সঙ্গে কিশোরীটির বিয়ে দেওয়া হয়। চর আমখাওয়া ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান আকন্দও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।